শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল যেন বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈশ্বব। আর এই ঘটনায় বাংলাদেশের বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
শুক্রবার বিকেলে হওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাংলার বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আর সেখানে এই রাজ্যের পাশাপাশি থাকতে পারে বাংলাদেশের বাসিন্দারাও। কারণ, হাওড়া-শালিমার বা সাঁতরাগাছি থেকে দক্ষিণ ভারতের প্রচুর ট্রেন প্রতিদিন ছাড়ে। তাতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু মানুষ যান। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশের মানুষই যান চিকিৎসা করানোর জন্য। তাই ট্রেনে বাংলাদেশের বাসিন্দারা থাকতেই পারে।
শনিবারই বাংলাদেশের হাই কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চিকিৎসার কারণে বাংলাদেশের অনেকেই যাতায়াত করে থাকেন। আর এই জন্য দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং ওড়িশার সঙ্গে বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশন, কলকাতা যোগাযোগ রাখছে। দেওয়া হয়েছে হটলাইন নম্বরও। যে নম্বরে হোয়াটস অ্যাপ করে করে বাংলাদেশের যাত্রী বা তাঁদের আত্মীয়রা যে কোনও সাহায্য পাবেন। নম্বরটি হলঃ +৯১ ৯০৩৮ ৩৫৩৫৩৩।
এ দিনের দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। জয়া এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দুর্ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বেশ স্টেশনের কয়েকটি প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর, বাংলাদেশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং নিহতের সংখ্যা ও ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, “কারো পরিচিত কেউ এই ট্রেনে ট্রাভেল করলে খোঁজ নিন”।
প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত এবং আহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শনিবার এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০। আহত একাধিক। আশঙ্কা করা হচ্ছে , উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। এখনও ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে থাকতে পারেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। গভীর রাতে ট্রেনের দরজা ভেঙে, গ্যাস কাটার দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। প্রতি মুহূর্তে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন।