বাংলাদেশের অবস্থা মোটেও ভাল নয়। সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের বর্বরতা। চারদিকে চলছে ছুটোছুটি, লুটপাট। এরকম অশান্তকর বাংলাদেশে রয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলি ও তাঁর মেয়ে আইরা। আর সেরকমই এক অভিজ্ঞতার কথা মিথিলা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা গাডি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। একরকম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মিথিলা।
বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। খোঁজা হচ্ছে গাড়িতে লুকিয়ে আছে কিনা আওয়ামী লিগের কোনও সদস্য। আর সেই তল্লাশি থেকে বাদ গেলেন না মিথিলাও। বাংলাদেশের অভিনেত্রী-গায়িকা মিথিলা তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, বাড়ি ফিরছিলাম। কয়েকজন অল্প বয়সি যুবক দু’বার আমার গাড়ি থামিয়েছে। ট্রাঙ্ক খুলতে বলেছে। তৃতীয়বারে জন্য যখন একই কাজ করতে বলে তারা, আমি কারণ জিজ্ঞেস করি। বিশ্রীভাবে বলে, তারা নাকি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেখছে আওয়ামি লিগের কাউকে লুকিয়ে রেখেছি কি না। এটা কিন্তু খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। আমরা দেশে নৈরাজ্য চাই না। লুটপাটকে সমর্থন করি না। এটা বিধ্বংসী মনোভাব। আমাদের দেশের ছাত্ররা কিন্তু এটার জন্য লড়াই করেনি। আমরা সুরক্ষা ও শান্তি চাই।
মিথিলার আরও একটি পরিচয় হল তিনি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। মেয়ে আইরাকে নিয়ে বাংলাদেশেই রয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও সোমবার সৃজিত জানিয়েছিলেন যে তাঁর সঙ্গে মিথিলার যোগাযোগ হয়েছে এবং মিথিলা ও কন্যা আইরা ভালই আছেন। সৃজিত ও মিথিলা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বাংলাদেশের এই উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত পোস্ট করে চলেছেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা বেনজির প্রতিবাদ আন্দোলন সোমবার চরম আকার ধারণ করলে দেশ ছেড়েন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ভারত হয়ে যেতে পারেন লন্ডনে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ছে সেখানকার সেনাবাহিনী। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙার চেষ্টা চালানো হয়েছে। হাসিনার বাড়িতেও লুটপাট চলছে। শাড়ি থেকে শুরু করে আসবাবপত্র, পোষ্য প্রাণী সবই লুট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই উত্তাল পরিস্থিতিতে মাঝেমধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে কথা হয়েছে সৃজিতের। তিনি আগেই জানিয়েছেন, মিথিলা ও আইরা নিরাপদেই আছেন।