বাংলাদেশের সর্বত্র হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে আন্দোলনকারীরা ১৩জন পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে। জেলার পুলিশ বিভাগের প্রচার আধিকারিক কামরুল আহসান স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এই খবর জানিয়েছেন। দু’দিন আগে খুলনায় এক পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে আন্দোলনকারীরা। এর আগে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময়ও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ছুটিতে থাকা এক পুলিশ আধিকারিকও ছিলেন, যিনি পরিচয় জানার পর পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এনায়েতপুরের পরিস্থিতি সামলানোর ভার সেনাকে দেওয়া হয়েছে। তবে থানায় কীভাবে আন্দোলনকারীরা ঢুকে ১৩জন পুলিশ কর্মীকে হত্যা করল সে ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। রবিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬৫ জন, এবং অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ। দেশব্যাপী সংঘর্ষে ৭২ জন নিহত হয়েছেন বলে শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ জন পুলিশ সদস্যসহ ৭২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন ও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে একজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার সন্ধে ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী কারফিউ জারি হয়েছে দেশটিতে। এছাড়া মেটা প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের ফোর জি মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করে তাদের কঠোর হাতে দমন করতে বলেছেন। তিনি জনগণের কাছে সন্ত্রাসীদের দৃঢ়ভাবে দমন করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন, যেখানে সেনা, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।