বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচার তো চলছেই। সেই সঙ্গে চলছে ভারত বিদ্বেষও। সেই বিদ্বেষ আরও একবার দেখা গেল ঢাকায়। স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন বিএনপি-র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-দূতবাসে ভারতীয়দের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ আয়োজন করেছিলেন ওই বিএনপি নেতা।
প্রতিবাদের সময় প্রকাশ্যে নিজের স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দেন রিজভী। ভারত থেকে আসা জিনিসপত্র না কেনারও আহ্বানও জানিয়েছেন। রিজভী বলেন,'যাঁরা আমাদের জাতীয় পতাকা ছিঁড়েছে, তাঁদের কোনও জিনিসপত্র আমরা ব্যবহার করব না। আমাদের মা-বোনেরা আর ভারতীয় শাড়ি পরবেন না। ভারতীয় সাবান বা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না'।
রিজভী আরও বলেন,'আমরা নিজেরাই লঙ্কা ও পেঁপে চাষ করব। ওদের জিনিসপত্রের দরকার নেই। ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে'।
রিজভীর কথায়,'বাংলাদেশ স্বনির্ভর। আমাদের দেশ যা প্রয়োজন তা উৎপাদন করতে পারে। ভারতীয় পণ্যকে সমর্থন না করে নিজেদের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করা উচিত।
রিজভী ভারতীয় নেতা ও গণমাধ্যমকে আক্রমণ করেন রিজভী। অভিযোগ করেন, মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে। তা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন,'আমরা কখনও ভারতীয় পতাকার অবমাননা করিনি। কিন্তু আমরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অন্যায় কাজ বরদাস্ত করব না। ভারতীয় পণ্য বয়কটই হল শক্তিশালী জবাব। বাংলাদেশ এর আগেও অত্যাচারীদের পরাজিত করেছে। বাংলাদেশ কোনও শক্তির সামনে মাথা নত করবে না। এমনকি যদি আমরা দিনে মাত্র একবার খেতে পারি, তবুও আমরা সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকব। স্বাবলম্বী হব'।
আগরতলায় কী হয়েছিল?
গত সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে ঢুকে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার জানিয়েছেন, দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স (এনসিসি) থানায় দায়ের হয়েছে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।