বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানাল, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা না ফেরা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,'আজ বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হতে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই অগ্রাধিকার পাবে'।
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে পতন হয়েছে হাসিনা সরকার। তারপরই হিন্দুদের উপর শুরু হয় হামলা। ভাঙচুর করা হয় মন্দির। এনিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র এ দিন বলেন,'সংখ্যালঘুদের হামলার ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই বলেছেন বিদেশমন্ত্রী। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। সংখ্যালঘুর উপর হামলার মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। আমরা সেই সব পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বলবৎ না হওয়া পর্যন্ত আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই,সমস্ত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব। আমরা আশা করছি, আইনশৃঙ্খলার দ্রুত উন্নতি হবে বাংলাদেশে। সেটা দেশ এবং এই অঞ্চলেরশান্তির জন্য দরকার'।
রাজনৈতিক আশ্রয় কি দেওয়া হবে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে?
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান,'অল্প সময়ের মধ্যে হাসিনাকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ বদলাচ্ছে। এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত নয়'।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। রণধীর জানান,'মার্কিন বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর কথা হয়েছে'।
বাংলাদেশে ভারতের বাণিজ্যিক বিনিয়োগ নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য,'উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ভারত চায় সে দেশে শান্তি ফিরুক, জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হোক। আমরা ঢাকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি'।