তাদের উপর হওয়া আক্রমণের প্রতিবাদে পথে নামলেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। কয়েক হাজার সংখ্যালঘু রাস্তায় নামেন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামের রাস্তায় জমায়েত করেন তাঁরা। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই সেই দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নেওয়া না হলে ঢাকা শহরে জমায়েতের হুঁশিয়ারি হিন্দুদের।
বাংলাদেশের হিন্দুদের অভিযোগ, হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দুদের উপর আক্রমণ অন্য মাত্রা পেয়েছে। মুজিবুর-কন্যা দেশত্যাগের পরই সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি, দোকানে হামলা চালানো হয়। লুটপাট, মারধর করা হয় অনেককে। কোনও কোনও মন্দিরকে টার্গেট করা হয়। মহম্মদ ইউনুস অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর তা আক্রমণ সাময়িকভাবে বেড়ে যায়। পরে যদিও তা কমতে থাকে। এই ঘটনার পর কেটে গেছে বেশ কয়েক মাস। কিন্তু সেই আক্রমণের প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন বাংলাদশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে পথে নামে হিন্দুদের একটা বড় অংশ। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে যেন শাস্তি দেওয়া হয়, এই দাবি তোলা হয় মহম্মদ ইউনুস সরকারের কাছে। যে দাবিগুলো হিন্দুদের তরফে করা হয় সেগুলো হল-
যদি তাদের দাবি মানা না হয় তাহলে ঢাকা শহরে বিশাল সমাবেশ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে ওই সংগঠন। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সরকারের তরফে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পূরণ করা হয় না। এই দাবিগুলো তারা দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার ৭ অগাস্ট দায়িত্ব নিয়েছে। প্রধান করা হয়েছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে। সেই সরকার আসার পর থেকে বাংলাদেশের একাধিক মৌলবাদী সংগঠন হিন্দুদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। যদিও সরকারের তরফে তার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।