বর্ষা ঢুকতে না ঢুকতেই রাজ্যে ফের ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। এসেছে মৃত্যুর খবরও। আক্রান্তের সংখ্যা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যে গত এক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুরসভার কপালে। বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব রাজ্য সরকারকে দিয়েছে পুরসভা। তাদের তরফ থেকে আর্জি করা হয়েছে ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যে আসা যাত্রীদের রক্তপরীক্ষা করা হোক। কারণ বাংলাদেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা। লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিবেশী দেশটিতে বাড়ছে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও। বুধবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৪১ জন। আর এই আবহেই কলকাতায় বাংলাদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন সেদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'ঢাকা উত্তরের মেয়র ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য যোগাযোগ করেছেন কলকাতার মেয়রের সঙ্গে, এটা অত্যন্ত সদর্থক দিক। কলকাতায় আপনারা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন, সেখান থেকেই সহযোগিতা পাওয়া, এটাই তো বিদেশের সঙ্গে সমঝোতা। আমি আশা করছি করোনা মহামারীর মতো ডেঙ্গি মোকাবিলা সফলভাবে করতে পারবো।'
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব। তার আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে আসছে। কী করব?” এদিন বিধানসভা অধিবেশনে ডেঙ্গির পরিস্থিতি নিয়ে কথার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে আসছে। যাঁদের ধরা পড়েছে, সব বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। প্রতিবেশী রাজ্য। কী করব?”