আর ২৪ ঘণ্টা পরে বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। সেই মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের মানুষকে শান্ত থাকার আবেদন জানালেন। নোবেল জয়ী অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের বার্তা, হিংসার মাধ্যমে কোনওকিছুর সমাধান সম্ভব নয়। সেই কারণে মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
ইউনুসের বার্তা, 'আমরা যাকে নতুন বিজয়ের লাভ পেতে পারি, সেজন্য বেশি চেষ্টা করতে হবে। আমাদের কোনও ভুলের কারণে যেন এই জয়কে পরাজয়ে পরিণত না করি। বর্তমানে তিনি প্যারিসে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরেই দায়িত্ব নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 'আমি বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার, সব ধরনের হিংসা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।' বলেন ইউনুস।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাটে তাদের দেখা মিলছে না। একাধিক পুলিশ কর্মীর হত্যার জেরে তারা কর্তব্যে ফিরথেন না। এতে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি আরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এমত অবস্থায়, ঢাকা শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব সামলেছেন শীক্ষার্থীরা। ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ, বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্যসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্থানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
পুলিশের এআইঅজি শহিদুর রহমান জানান, 'পুলিশ জনগণের বন্ধু। এটা বুঝতে হবে সাধারণ মানুষকে। পুলিশ ছাড়া সমাজ চলে না। পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করছি গুজব উপেক্ষা করে কাজে ফিরুন।'
মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ কথা ঘোষণা করেন। তারপরই বাংলাদেশে পুলিশে একাধিক রদবদল করা হয়েছে।
আবার আজ বুধবার জেল থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। চির প্রতিদ্বন্দ্বী হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ভাষণ দেন।
খালেদা জিয়া বলেন, 'আমি এখন মুক্তি পেয়েছি। আমি সাহসী ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য করো বা মরো শ্লোগান তুলে সংগ্রাম করেছিলেন। এই বিজয় আমাদের লুণ্ঠন, দুর্নীতি ও অপরাজনীতির ধ্বংসাবশেষ থেকে ফিরে আসার নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। আমাদের এই দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করতে হবে।'
এদিকে গত দুদিনে কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর বুধবার ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদন ইউনিটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে।
আবার বাংলাদশের একাধিক ব্যাঙ্কেও হামলা চালানো হয়। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে হাসিনার আওয়ামী লিগ দলের অন্তত ২৯ জন সমর্থকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবে বাংলাদেশ শান্ত হবে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।