গত মাসে চট্টগ্রামে পুলিশ ও সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে তোলপাড়। এই ঘটনায় চিন্ময় দাস ও তাঁর শতাধিক সমর্থকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে নতুন করে মামলা দায়ের করা হল।
হেফাজতে ইসলাম কর্মী এনামুল হক এই মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে দাসকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি আরও ১৬৪ জন চিহ্নিত এবং প্রায় ৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এনামুল অভিযোগ করেছেন, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার জন্য দাসের সমর্থকরা তার উপর আক্রমণ চালায়। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় আঘাত লাগে, যার জন্য তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। সুস্থ হতে সময় লাগায় মামলা দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে, ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় দাসের সমর্থকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। ৩ ডিসেম্বর আরেকটি মামলা করেন এক ব্যবসায়ী, যেখানে রাঙ্গাম সিনেমা হলের কাছে হামলার অভিযোগে রাজনৈতিক কর্মী ও ইসকন সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়।
প্রাক্তন ইসকন সদস্য এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, যার মধ্যে চট্টগ্রামের একটি বিক্ষোভে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
চিন্ময় দাস এখনো পুলিশ হেফাজতে আছেন। তার জামিন শুনানি আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
অস্থায়ী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনুসের অধীনে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং দাসের গ্রেপ্তার এই পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে।