সামনেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। আর তার মাঝেই সে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, সন্ধ্যা পেরুতেই তার দাম দুইশো ছাড়িয়ে যায়। কয়েকঘণ্টার মধ্যে এভাবে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার জন্য ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধকেই দায়ী করা হচ্ছে।
ভারতে পেঁয়াজ সংকট দেখা দিয়েছে, এদেশেও ক্রমেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। আর সেই কারণেই আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। শনিবার সকালে বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে ভারত থেকে সাড়ে ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশে। সর্বশেষ ৫ ডিসেম্বরে ৫৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয় রূপালী এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে। এই আবহে দেশে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে ভারত থেকে পুরনো এলসির ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছে হাসিনা সরকার।
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে হাসিনা সরকার। এ লক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রক চিঠি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটারিং করার জন্য সব জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এই পেঁয়াজ দ্রুত বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে হাসিনা সরকার।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ভারত রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কীভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পআয়ের মানুষের মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সর্বত্র ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।