বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আসতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পাড়ায় এখন সাজো সাজো রব মায়ের আগমন ঘিরে। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও। কিন্তু নিরাপদে পুজো করা যাবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আয়োজকরা। এই প্রেক্ষিতে, দুর্গোৎসবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাম্প্রতীক অতীতে দুর্গাপুজোয় তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের একাধিক পুজো মণ্ডপে। ২০২১ সালে দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। এখনও বাংলাদেশের হিন্দুদের মন থেকে দূর হয়নি দু’বছর আগে দুর্গাপুজোর সময়ে সেই মণ্ডপে হামলার স্মৃতি। চলতি বছরেও পুজোর আগেই সেখানে একাধিক মণ্ডপ এবং মন্দিরে হামলার খবর সামনে এসেছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে প্রতিমাও। এই নিয়ে আতঙ্কিত সেখানের সংখ্যালঘুরা। আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। এবারও সেখানে দুর্গাপুজোর সময়ে হামলার আশঙ্কা করছেন হিন্দু এবং পুজোর আয়োজকরা। তাঁদের আশঙ্কা, পুজো চলাকালীন সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা হতে পারে প্রতিবেশী দেশটিতে। এই জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চান তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে, দুর্গোৎসবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
লন্ডন সফরের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে, ওয়াশিংটনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী । সেখানেই তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার বহাল রাখতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।” পাশাপাশি হাসিনা দাবি করেন, তাঁর আমলে দেশে দুর্গাপুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘুদের জন্য তাঁর সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে তারও পরিসংখ্যান বৈঠকে তুলে ধরেন হাসিনা।