বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে দেশও ছেড়েছেন হাসিনা। বেলা আড়াইটে নাগাদ একটি সামরিক হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন হাসিনা ও তাঁর বোন। যদিও হাসিনার পদত্যাগের খবর এখনও নিশ্চিত নয়। তারপরই খবর আসে, বিশাল সংখ্যক আন্দোলনকারী ঢুকে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর আবাসে।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। জামানের বার্তা,'রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখুন। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখুন। দয়া করে সাহায্য করুন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত থাকুন'।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেনাপ্রধান। ওই বৈঠকে ছিলেন শিক্ষক আফিস নজরুল ও জোনায়েদ সাকিও। সেনাপ্রধান জানান, ছাত্ররা শান্ত হোক। অন্তবর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
কয়েকদিন ধরেই অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতির। সোমবার ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন শেখ হাসিনা। সোমবার বেলা আড়াইটে নাগাদ বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়েন শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তাঁর হেলিকপ্টারের উদ্দেশ্য ভারত। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তবে সেই সুযোগ পাননি।
কোটা বিরোধী আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে হিংসার সূত্রপাত। সেই আন্দোলনই বৃহত্তর আকার ধারণ করে। রাজপথে নেমে আসে লাখো লাখো ছাত্রছাত্রী। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ। নিরাপত্তা বাহিনী হিংস্র জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে এ দেশের বিদেশমন্ত্রক।