গতবছর সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ফের একবছর পর চলতি সেপ্টেম্বরেই ফের একবার ভারতে আসছেন হাসিনা। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। আর তাতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই আমন্ত্রণেই ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর, দুইদিনের এই সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন হাসিনা। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দলিব ইলিয়াস।
জানা যাচ্ছে, জি-২০ সম্মেলনের মাঝেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত সরকারের সঙ্গে তিস্তার জল নিয়ে আলোচনা করতে চাইছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জানিয়েছেন, “জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করছি সম্মেলনের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।”
প্রসঙ্গত, আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন , ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ (Emnanuel Macron), কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তবে শুধু সম্মেলনই নয়, জি-২০-র অনুষ্ঠানের ফাঁকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এবার জানা গেল, শুধুমাত্র বাইডেন নন, তার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে ৭ সেপ্টেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর, রবিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাংলাদেশ জি-২০ জোটের সদস্য নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের নিকট বন্ধু হিসাবে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের অন্যতম। গত এক বছর যাবৎ জি-২০ সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনাতেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি ব্রিকস সামিটে মোদী ও হাসিনার দেখা হলেও, তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়নি। তাই এবার জি-২০ সম্মেলনের মাঝেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন দুজনে। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ের সঙ্গে তিস্তার জল নিয়েও কথা হবে। বাংলাদেশের এজেন্ডায় তিস্তা থাকছে।