বাংলাদেশে চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ করতে হবে, এই নিয়ে রায় দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায় মেনে মঙ্গলবার রাতে কোটা সংস্কার কার্যকর করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করল শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশ সংবাদসংস্থা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত ওপার বাংলা। সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও থমথমে বাংলাদেশ। অশান্তির ঘটনা রুখতে সে দেশে কার্ফু জারি করা হয়েছে। কার্ফুর মেয়াদ আরও ২ দিন বাড়ানো হল। তবে এর মধ্যেই বুধবার থেকে বাংলাদেশে অফিস খুলছে। বাংলাদেশ সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার থেকে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খুলবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে অফিস। অন্য দিকে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার কার্ফু জারি থাকবে।
বিবিসি বাংলা সূত্রে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, রাতের মধ্যেই সে দেশে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ব্রডব্যান্ট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। তবে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে না। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুবদের আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ঘটছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
বাংলাদেশের ঘটনা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেছে নয়া দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে বসবাসকারী ১৫ হাজার ভারতীয় নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ জন পড়ুয়া। গোটা পরিস্থিতির দিকে বিদেশ মন্ত্রক সর্বদা নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বাংলাদেশ থেকে ৯৭৮ জন পড়ুয়াকে ভারতে ফেরানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।