প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে আবারও হিংসার খবর উঠে আসছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার বাংলাদেশে যে হিংসা শুরু হয়েছে তাতে প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত এবং প্রচুর আহত হয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনকারী, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকার রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছে, গত মাসে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
শেখ হাসিনা আজ রাতে হিন্দনে থাকবেন
বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের C130 J পানাগড় বিমান ঘাঁটির উদ্দেশ্যে রওনা করবে। রাতের পরে এটি হাসিনাকে নিতে ফিরে আসতে পারে। কারণ লন্ডন থেকে যাত্রার ছাড়পত্র পায়নি।
চিফ জাস্টিসের ভবনে লুঠপাট
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পর এবার চিফ জাস্টিসের বাসভবনেও লুঠপাট চালাল উত্তেজিত জনতা। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাস্তায় পুলিশ নেই। এমনকী বাংলাদেশের আধাসেনাও রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। শুধু পুরোদস্তুর সেনা রয়েছে রাস্তায়।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও এনএসএ অজিত দোভালের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করছেন ডোভাল।
হাসিনার নিরাপত্তায় গরুড় কমান্ডো
হিন্দন এয়ারবেসের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে শেখ হাসিনা। নিরাপত্তায় মোতায়েন বায়ুসেনার গরুড় কমান্ডো।
হিন্দন এয়াবেসে অজিত ডোভাল
হিন্দন এয়ারবেস থেকে বেরিয়ে এল অজিত ডোভালের কনভয়।
হাসিনার অবতরণ
সেনার হিন্ডন এয়ারবেসে অবতরণ করল শেখ হাসিনার বিমান। সেনাবাহিনীর সিনিয়র আধিকারিকরা তাঁকে স্বাগত জানান।
আর কিছুক্ষণ পরই দিল্লিতে অবতরণ হাসিনার
দিল্লিতে অবতরণ করতে চলেছেন শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, খুব বেশিক্ষণ দিল্লিতে তিনি থাকবেন না। এখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
বাংলাদেশে এখনও হিংসা চলছে
প্রধান বিচারপতি বাসভবনে ভাঙচুর চালাল বিক্ষোভকারীরা। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে আগুন। আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয় ভষ্মীভূত।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়ল
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। চাণক্যপুরীর ২০-র বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন।
মমতার বার্তা
উস্কানিমূলক মন্তব্য না করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,'এমন কোনও পোস্ট করবেন না যাতে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট নয়। এমন কোনও মন্তব্য করবেন না যাতে হিংসা বা প্ররোচনা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের এই ঘটনায় আমরা সকলে উদ্বিগ্ন। এমন কিছু লিখবেন না যাতে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। বিজেপি নেতারা এমন কিছু পোস্ট করতে পারেন, যা প্ররোচনা দিতে পারে'।
‘বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবেন না: মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবেন না। ফেসবুক বা কোনও জায়গায় কিছু পোস্ট করবেন না। যা বলার ভারত সরকার বলবে৷’’
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বললেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আজই যাব। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। আমরা সব দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে আওয়ামি লিগের কেউ ছিল না। ছিল বিএনপি, জামাত ও জাতীয়দল। সব হত্যার বিচার হবে। এই পরিস্থিতি আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। সেনাবাহিনী কোনও গোলাগুলি চালাবে না। কোনও জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নেই। আমরা একটা সুন্দর পরিবেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের দুএকদিন সময় দিতে হবে। এখনও ছাত্রদের কাজ হল, শান্ত হওয়া। আমাদের সাহায্য করা।
গণ ভবন দখল আন্দোলনকারীদের
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন দখল করল আন্দোলনকারীরা। উত্তাল বাংলাদেশের পরিস্থিতি।
সম্ভবত ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা
সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে আসছেন তিনি।
ভারতে প্রবেশ করেছেন শেখ হাসিনা
বোন রেহানাকে নিয়ে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটার সময় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা
ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা, সেনাকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সামলানোর আর্জি। সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে মিলেছে এই খবর।
শেখ হাসিনার ছেলের আহ্বান
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সোমবার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে "যেকোনো অনির্বাচিত সরকারকে" ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কারণ কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছে।
ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ
বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধের নির্দেশ দিল হাসিনা সরকার। রবিবার পর্যন্ত ফোর জি পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। মোবাইলের ইন্টারনেট চলছিল না। তবে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু ছিল। সোমবার তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হল।
রবিবার থেকে কারফু চলছে
ছাত্র আন্দোলন সামাল দিতে রবিবারই কারফু ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার। বাংলাদেশ সরকার রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফু জারি করেছে দেশ জুড়ে। অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা হয়েছে সোমবার থেকে তিন দিনের ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাঝে আন্দোলনকারীদের লং মার্চের ডাক নতুন করে অশান্তির জন্ম দিতে পারে।
সারা দেশে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এই ছাত্র আন্দোলনে ইতিমধ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে এবং এ পর্যন্ত সারাদেশে কমপক্ষে ২০০ জন মারা গেছে। বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা।
অনেক বড় রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার বিক্ষোভকারীদের একটি ভিড় লাঠি ইত্যাদি নিয়ে সেখানে পৌঁছেছিল। ঢাকার মাঝখানে শাহবাগ মোড়ে এই জনতা জড়ো হলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এছাড়াও অনেক জায়গায় এবং প্রধান শহরগুলিতে রাস্তায় বিক্ষোভকারী এবং পুলিশ কর্মীদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধান সড়ক অবরোধ করে। এই সংঘর্ষে পুলিশের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগের সমর্থকরাও ছিল, যাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
কর এবং বিল পরিশোধ না করার জন্য আপিল
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছাত্রদের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি সমর্থিত কিছু দলও রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কর ও বিল না দেওয়ার আবেদন করেছেন এবং রবিবার কাজে না যাওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা রবিবার ঢাকার শাহবাগ এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি হাসপাতালসহ খোলা অফিস ও প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকার উত্তরা এলাকায় কয়েকটি কাঁচা বোমার বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।
জুলাই মাসেও হিংসা হয়েছিল
সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও দিয়েছে। ঢাকার মুন্সীগঞ্জ জেলার একজন পুলিশ সদস্য সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে”। প্রতিবাদী নেতারা প্রতিবাদকারীদেরকে বাঁশের লাঠি দিয়ে সশস্ত্র করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মিডিয়ার মতে, বগুড়া, মাগুরা, রংপুর ও সিরাজগঞ্জ সহ ১১টি জেলায় মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যেখানে আওয়ামী লিগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যরা সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
গত মাসে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ তীব্র হলে সুপ্রিম কোর্ট কোটা কমিয়ে ৫ শতাংশ করে, যার মধ্যে ৩ শতাংশ দেওয়া হয় যোদ্ধাদের স্বজনদের। এরপরেও, বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।
সরকার কারফিউ ঘোষণা করেছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আন্দোলনকারীদের দিকে পাল্টা আঙ্গুল তুলেছেন। সরকার বিরোধী দলগুলি এবং বর্তমানে নিষিদ্ধ ডানপন্থী জামায়াত-ই-ইসলামী দল এবং তাদের ছাত্র সংগঠনগুলিকে হিংসা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে । জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠকের পর শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, "এই মুহূর্তে যারা রাজপথে বিক্ষোভ করছে তারা ছাত্র নয়, জঙ্গি, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।" তিনি এসব জঙ্গিদের কঠোরভাবে দমন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের জন্য অ্যাডভাইজারি জারি করেছে ভারত
বাংলাদেশে হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত সরকার ভারতীয় নাগরিকদের প্রতিবেশী দেশে ভ্রমণ না করার জন্য একটি অ্যাডভাইজারি জারি করেছে। বাংলাদেশে উপস্থিত সকল ভারতীয় নাগরিককে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করার, তাদের চলাচল সীমিত করার এবং তাদের জরুরি ফোন নম্বরের মাধ্যমে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকার এর জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে।
+8801958383679
+8801958383680
+8801937400591