নবমীর বিকেলে বাংলাদেশে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যির খবর সামনে এসেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আহতের সংখ্যাও অনেক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে এসেছে দমকলও।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশনে এই দুর্ঘটনা হয়। তখন বিকেল তিনটে। যাত্রীবাহী ট্রেন এগারসিন্ধুকে একটি মালবাহী ট্রেন পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। বিকট শব্দ হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনটি কার্যত পাল্টি খেয়ে যায়। আহত হয়েছেন আরও ৪০ থেকে ৫০ জন। তবে তার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীবাহী এগারোসিন্ধুর ট্রেনটি যাচ্ছিল ঢাকার দিকে। ভৈরব রেলস্টেশনের ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এদিকে দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের দুটি বগি উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
ঢাকা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, 'প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, মালবাহী ট্রেনটি পেছন থেকে এগারো সিন্ধুরে ধাক্কা দেয় এবং দুটি বগিতে আঘাত করে।'রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় পুলিশ অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
এর আগে বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি টঙ্গিতে। ওই দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৪০০ যাত্রী। আবার ১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীর কাছে একটা রেল সেতু পার হওয়ার সময় কয়েকটি স্প্যান ভেঙে পড়ে। নিচে শুকনো জায়গায় গিয়ে পড়ে ট্রেনের কয়েকটি বগি। এতে ৬০ জন যাত্রী নিহত হন।