বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক ফিরদৌস আহমেদ এপার বাংলাতেও বেশ পরিচিত মুখ। টিলউডের একাধিক ছবিতে তাঁকে দেখা গেছে অভিনয় করতে। সেই ফিরদৌসকেই এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। বই লিখেছেন অভিনেতা। আগামী বছরের একুশের বইমেলায় সেই বই প্রকাশ করতে চলেছেন ফিরদৌস। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও তাঁর লেখক সত্ত্বার পরিচয় পেয়েছেন ভক্তরা। ২০০১ সালে একুশের বই মেলায় প্রথমবার ‘হঠাৎ বৃষ্টি এবং’ নামের একটি বই প্রকাশ করেছিলেন ফিরদৌস। সেটি পাঠক মহলে বেশ সমাদৃতও হয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিনের বিরতির পর ফের একবার নিজের পুরনো ভাসবাসায় মনোনিবেশ করেছেন অভিনেতা।
জানা যাচ্ছে ফিরদৌসের লেখা নতুন বইটির নাম ‘এই গল্প সত্য নয়’। এরইমধ্যে বইলেখার কাজ পুরোপুরি নাকি সম্পন্ন করেছেন অভিনেতা। কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে দার্জিলিং ভ্রমণ করেছিলেন অভিনেতা। সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতাই এবারের বইয়ের পাতায় লিপিবদ্ধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাও বইতে স্থান পেয়েছে।
ফিরদৌস সাংবাদিকতার ছাত্র ছিলেন। তাঁর নিজের কথায়, লেখালেখির কাজটি করতে ভাল লাগলেও বেশিরভাগ সময় তা ডায়েরির পাতাতেই থেকে যায়। তবে করোনার কারমে দীর্ঘ সময় ধরে শুটিং-এর বাইরে রয়েছেন অভিনেতা। আর সেই সময়ের মধ্যেই নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখে ফেললেন বই। তবে ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ সিনেমর শটিং ফ্লোর খুব শীঘ্রই ফিরতে চলেছেন তিনি। এছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’, নুরে এলাহীর পরিচালনায় ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’। এছাড়া তাঁর দুটি ছবি ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ ও ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি ফিরদৌস বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয়। গত বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ক্ষমতাশীল আওয়ামি লিগে পদ পান অভিনেতা। । বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে বহুবার দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে দেখা গেছে তাকে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের ৭৩তম অধিবেশনেও যোগ দিয়েছিলেন ফিরদৌস। তবে এই ফিরদৌসই একবার ভারতে এসে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ফিরদৌস আহমেদের ভিসা বাতিল করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতের নাগরিক না হয়েও রাজনৈতিক প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।