একের পর এক ঝড় বয়ে চলেছে পরীমণির জীবনে। গত বছর থেকে চলছে তাঁর ও স্বামী শরিফুল রাজের মধ্যে বিশাল টানাপোড়েন। ছেলে রাজ্যকে নিয়ে নিজের মতো থাকছেন পরী। এখন তাঁর জীবনে রাজ্য ছাড়া আর কোনও কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর সেই একরত্তি যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে মা হয়ে নিজেকে ঠিক রাখা বড় কঠিন। আর সেটাই হয়েছে পরীমণির জীবনেও। দিন কয়েক আগেই খাবারে বিষক্রিয়া থেকে অসুস্থ হন বাংলাদেশের নায়িকা এবং তাঁর বাড়ির পাঁচ সদস্য। বাকিরা সুস্থ হলেও একরত্তি এখনও সেরে ওঠেনি। বরং তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। রাজ্যের শরীরে দুটি ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। প্রথমে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হলেও পরে তাকে নিয়ে পরী কলকাতায় চলে আসে। এই শহরে এখন একাই দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের নায়িকা।
বাইপাশ সংলগ্ন এক পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন পরীমণি। তাঁর হোটেলের কাছেই এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে পরীর পদ্ম। সারাদিন ছেলের সঙ্গে হাসপাতালেই কাটান পরী। কিছুই খাওয়া-দাওয়া হয়না তাঁর। শুক্রবার রাতে হাসপাতা থেকে ফিরে হোটেলেই খাওয়া-দাওয়া সারলেন তিনি। খুব সাধারণ খাবার খেয়েছেন পরী। ভাত, ডাল, ডিম ভাজা, মাছের ঝোল ইত্যাদি দিয়েই ডিনার সারেন পরী। খাবারের সেই ঝলক সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে পরী লিখেছেন, 'সারাদিন পর।'
প্রসঙ্গত, বুধবারই ঢাকা থেকে কলকাতায় ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন পরীমণি। পরীমণির ছেলের অসুস্থতার কথা জানান বাংলাদেশের পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। শুধু পেশাগত ক্ষেত্রেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি পরীমণির কাছের মানুষ। তিনি এও জানান যে পরী কলকাতায় আসছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। বৃহস্পতিবারই পরী নিজের অসহয়তার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, "জীবনে এতটা অসহায় বোধ করিনি আগে! আল্লাহ সহায়...।" নায়িকা সকলকে অনুরোধ করেন, তাঁর সন্তানের জন্য প্রার্থনা করার জন্য। তাঁর করা পোস্টে সকলেই রাজ্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
গত বছর থেকেই পরীর জীবনে একের পর এক ঝড় বয়ে চলেছে। প্রথমে দাম্পত্য জীবনে চিড়, তারপর একমাত্র অভিভাবক দাদুকেও হারান নায়িকা। আর এখন নতুন বছরে ছেলে রাজ্যের অসুস্থতা। সব মিলিয়ে বেশ ভেঙে পড়েছেন পরী। যদিও এইসবের মধ্যে খুশির খবর এটাই যে দু বছর পর অভিনয়ে ফিরেছেন তিনি। আর এখন পরী শুধুই নিজের কেরিয়ারে মনোযোগ করতে চান। ছেলের জন্মের পর থেকে তাকে ঘিরে জীবন আবর্তিত পরীমণির। কাজের বাইরে একরত্তির সঙ্গেই সময় কাটে তাঁর।