বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট দিতে দেখা যায়নি এই দেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী পরীমণিকে। ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এখন জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। সোমবার দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তারপরই পরীমণি ফেসবুক পেজে তুলে ধরলেন তাঁর পুরনো অতীত। বাংলাদেশের উত্তপ্ত অবস্থার সঙ্গে পরী যেন নিজের জেলবন্দির সময় ও জীবনের নানান কঠিন পরিস্থিতির প্রসঙ্গকে তুলে ধরেছেন। তবে বিস্তারিত সেভাবে কিছুই বলেননি।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তাল। আর সেই অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের একাধিক তারকারা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে সরব হয়েছে। কেউ বা এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন আবার কেউ বা চাইছেন দেশে শান্তি ফিরে আসুক। তবে এইসব থেকে একটু দূরেই অবস্থান করছিলেন পরী। কিন্তু সোমবার হাসিনা সরকারের পতন হতেই নায়িকা যেন তাঁর তিনবছর আগেকার কথা মনে করলেন। আর ফেসবুকে লিখলেন, তিন বছর আগে এই ৫ অগাস্ট যে ভাবে আমার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। প্রকৃতি হিসেব রাখে মা। তিনবছর আগে এই ৫ অগাস্ট পরীমণি মাদক মামলায় জড়িয়ে জেলে গিয়েছিলেন। প্রায় মাসভর জেলে থাকার পর জামিনে ছাড়া পান পরী। সেই যন্ত্রণা, ক্ষত আজও দগদগে বুঝিয়ে দিলেন নায়িকা।
তবে আরও একটি পোস্টে পরীমণি দেশের শান্তিও চেয়েছেন। তিনি পোস্টে লেখেন, শান্তি চাই!! লুটপাট, থানা আক্রমণ প্রতিহিংসা চাই না। আমরা সংযত হই, দায়িত্ববান হই। প্রিয় বাংলাদেশে আর রক্তপাত চাই না। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পাশাপাশি পরী টলিউডেও পা রাখছেন। সোহম-মধুমিতার সঙ্গে তাঁর প্রথম বাংলা ছবি ফেলু বক্সী। যার শ্যুটিংও হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এপার বাংলার মানুষজনও। দেব থেকে স্বস্তিকা বহু টলিউড তারকাই বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংরক্ষণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজালেও পিছু হটেনি আন্দোলনকারীরা। হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছিল তাঁরা। সেই গণ অভ্যুত্থান সোমবার চরম আকার ধারণ করে, গণভবন দখল করে নেয় আন্দোলনকারীরা। শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন। সেনা প্রধান জানিয়েছেন, অন্তর্বতীকালীন সরকার গড়বে সেনা।