Advertisement

Bangladesh General Elections 2024: বাংলাদেশের নির্বাচনে নাক গলাতে পারল আমেরিকা?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাক গলাতে তৎপর আমেরিকার বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রশাসন, বা জো বাইডেন-অ্যান্টনি ব্লিঙ্কের জুটি গত তিন মাস ধরেই কি কিছুটা রণে ভঙ্গ দিয়েছে? এমনতর প্রশ্ন ওঠার কারণ আগামী রবিবার বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন হতে চলেছে।

বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচন ২০২৪
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Jan 2024,
  • अपडेटेड 1:01 PM IST
  • শেষমেশ পিছু হঠল ওয়াশিংটন?
  • অস্থিরতা তৈরির ঝক্কি নেয়নি ওয়াশিংটন
  • বিশবাঁও জলে পড়ল বিএনপি

মহম্মদ ইউনুস, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে যখন ঢাকার আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাজা শোনাচ্ছিল, তখন কি তার পাশে আমরা হিলারি রোডহ্যাম্প ক্লিন্টনকে আশা করেছিলাম? আমাদের প্রতিবেশী দেশে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে মহম্মদ ইউনুসের যে দ্বৈরথ চলছিল, যা এক তিক্ত আইনি লড়াইয়ের চেহারা নিয়েছিল, সেখানে তো ‘বন্ধু’ ইউনুসের পাশে হেঁটে বিল ক্লিন্টন পত্নী, থুড়ি প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিবের ‘সলিডারিটি’ দেখানোর কথা ছিল! কিন্তু কোথায় কী? আমেরিকার রাজনীতিতে বর্তমান শাসক দল ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ হিলারি ক্লিন্টন কি তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে পিছু হটলেন? 

শেষমেশ পিছু হঠল ওয়াশিংটন?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাক গলাতে তৎপর আমেরিকার বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রশাসন, বা জো বাইডেন-অ্যান্টনি ব্লিঙ্কের জুটি গত তিন মাস ধরেই কি কিছুটা রণে ভঙ্গ দিয়েছে? এমনতর প্রশ্ন ওঠার কারণ আগামী রবিবার বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন হতে চলেছে। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নিজের শর্তেই, অর্থাৎ কোনও ‘তত্ত্বাবধায়ক’ সরকারে অধীনে নয়, বরং মুজিবুর কন্যা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ভোট করাচ্ছেন। আর এই ভোটে ওয়াশিংটনের হয়ে যিনি যাবতীয় লম্ফঝম্ফ করছিলেন, সেই বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তো গত তিন মাসে দুবার দুই দেশে ছুটি কাটিয়ে গেলেন। প্রথমবার তিনি গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কায়, আর এবারে বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে গেলেন দিল্লিতে। 

অস্থিরতা তৈরির ঝক্কি নেয়নি ওয়াশিংটন

তাহলে বাংলাদেশে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কথা বলে, ভিসা বিধির কথা ঘোষণা করে আমেরিকা তাদের অঙ্গুলিহেলনে যেভাবে রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল, তার কি কিছুই হল না? নাকি ৭ অক্টোবর ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত শুরু হয়ে যাওয়ার পর পশ্চিম এশিয়ার যে ভাবে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল, তাতে দক্ষিণ এশিয়ার একটি মুসলিম প্রধান দেশে আর অস্থিরতা তৈরির ঝক্কি নেয়নি ওয়াশিংটন। বরং দিল্লিতে ব্লিঙ্কেন জয়শঙ্কর বৈঠকের পরে ভারতীয় বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা দ্ব্যর্থহীনভাবে যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সেটাকেই মান্যতা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে হাত গুটিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিল জো বাইডেন সংসার।

Advertisement

বিশবাঁও জলে পড়ল বিএনপি

মনে রাখা দরকার, শেখ হাসিনার সরকার বনাম মহম্মদ ইউনুসের আইনি লড়াইতে যেমন হিলারি ক্লিন্টন, বারাক ওবামারা গোটা পৃথিবীর তাত্ত্বিকদের সই সংগ্রহ করেছিলেন, তেমনই অক্টোবরের আগে পর্যন্ত পিটার হাস বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ডেকে শলাপরামর্শ দিতেন। এবং সেই সময় আমাদের প্রতিবেশীর বিরোধী দলগুলি নেতারা বিশ্বাস করতেন ওয়াশিংটন নির্ধারণ শক্তি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বি এন পির আন্দোলন যখন হিংসাত্মক চেহারা নিল এবং শেখ হাসিনার সরকার বি এন পি নেতাদের জেলে ভরতে শুরু করল, তখন আর পিটার হাসকে কোথাও পাওয়া গেল না। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিয়মিত অতিথি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের তো আওয়ামী লিগের সঙ্গে সমঝোতা করে নিজের এবং নিজের স্ত্রীর আসনটিকে সুনিশ্চিত করে ভোটেই চলে গেলেন! ইংল্যান্ডে বসে বি এন পির নেতা তারেক রহমান যে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে পাবেন বলে ভেবেছিলেন এবং আমেরিকার সমর্থনের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন, তাঁরাও বিশবাঁও জলে পড়ে গেলেন। 

এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের পরিভাষায় পিটার হাস রিটায়ার হার্ট হয়ে যাওয়ার পর ওয়াশিংটনের দাদাগিরি ছাড়াই বাংলাদেশে ভোট হতে চলেছে। এবার হয়তো নয়া দিল্লির ফর্মুলা মেনেই। ‘বাংলাদেশের ভোট, বাংলাদেশের রাজনীতি, সেদেশের মানুষরাই ঠিক করুক।’ ভারতের যুক্তি আপাতত ওয়াশিংটনকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি প্রতিবেদকের সম্পূর্ণ নিজস্ব মত। bangla.aajtak.in এর দায় নিচ্ছে না।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement