রবিবার সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন পরীমনি। ছেলে রাজ্যর ১০ মাসের জন্মদিন একসঙ্গে উদযাপন করতে দেখা যায় পরীমনি ও তাঁর অভিনেতা স্বামী শরিফুল রাজকে। এই ভিডিও দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন রাজ ও পরীর জীবনে যে অশান্তির ঝড় চলছিল তা বোধহয় থেমেছে। তবে ওই ভিডিও প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধারণা বদলে দিলেন অভিনেত্রী নিজেই। এক হওয়ার যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা ঠিকঠাক ঠিক নয়। নিজেই জানিয়ে দিলেন পরীমনি।
সোমবার ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পরীমনি লেখেন, কিছুই ঠিক হয়নি। রাজ তার পাশে নেই। ফেসবুকে ঢালিউড তারকা পোস্ট করেছেন, আপনাদের মধ্যে অনেকের মতো আমিও খুশি হয়ে যাই খবরের এসব শিরোনাম দেখে! সব ভুলে আবার এক হলেন। কিন্তু সব কি আর সবসময় এক হয়? পরীর আরও সংযোজন, আমরা দশ তারিখটা (যেটি আমাদের জীবনের অনেক স্পেশাল দিন। আমাদের বাচ্চার পৃথিবীতে আসার দিন এটি) সেলিব্রেট করেছি মাত্র। আগামী দিনেও করবো। যেখানে আমরা জীবনের অন্য কোন ইস্যু টানবো না। অভিনেত্রী লিখেছেন, নয় তারিখ রাতে নানাভাই ঢাকায় আসেন। তারপর এই আয়োজন,সবাই মিলে। শুধু নানাভাই রয়ে গেলেন আমার কাছে। আর,রাজ চলে গেল রাজের মতো। এসব ঘটনা এখানে শেষ হবে আশা প্রকাশ করে নায়িকা লিখেছেন, আশা করি এটা এখানেই শেষ হবে।
রবিবার ভোরে ফেসবুকে পরীমনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায়, ছেলে রাজ্যকে নিয়ে কেক কাটছেন রাজ ওপরী। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন পরীমনির নানাও। ভিডিওটি শেয়ার করে পরীমনি লিখেছিলেন, ‘আজ রাজ্যের দশ মাস পূর্ণ হলো আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাপি টেন মান্থস বাপজান।’ সঙ্গে জুড়ে ছিলেন, ‘মাসের দশ তারিখটা আমাদের জন্যে অনেক স্পেশাল! ব্যাস এতটুকুই…। ’
প্রসঙ্গত গত ৫ জুন স্বামী শরিফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ আর না বাড়তে দিয়ে বরং সংসারের হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে ফেলার কথা বলেছিলেন পরীমনি। অভিনেত্রীর মন্তব্য ছিল, কাগজে-কলমে ডিভোর্স না হলেও তিনি আর রাজের স্ত্রী নন। এরআগে পরীমনি-শরিফুল রাজের দাম্পত্য কলহ প্রকাশ্যে আসে। বন্ধুদের সঙ্গে রাজের ভিডিও ক্লিপ ও ছবি ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরী-রাজের সংসার ভেঙে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এদিকে বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে রাজ রবিবার ভিডিও নিয়ে বলেন, ‘এখানে একসঙ্গে হওয়া না–হওয়ার বিষয়টি বড় নয়। আমি আমার বাচ্চাকে দেখতে বাড়ি যাব না?' সেইসঙ্গে রাজের সংযোজন, ‘যেখানে যেভাবেই থাকি, বাচ্চার স্পেশাল দিনটিতে আমরা দুজন সারা জীবনই একসঙ্গে হব। আমাদের দুজনের একান্ত বিষয়গুলো সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলতে দেব না। রাজ্যের জন্য একটা বিউটিফুল জীবন দিতে চাই আমরা।’