১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট রক্তে ভেসেছিল বাংলাদেশ। এদিনেই সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাই প্রতিটি বাংলাদেশির কাছে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস। আর এই দিনেই এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল রাজধানী ঢাকায়। সোমবার দুপুরে পুরনো ঢাকার চকবাজারের একটি বহুতলে অবস্থিত পলিথিন কারখানায় আগুন লাগে। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকার ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ৪টি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে দুপুর দুটো ২০মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছে, চারতলা বিল্ডিংটির তৃতীয় তল পর্যন্ত পাকা ভবন আর চতুর্থ তলায় টিনশেডের। এই টিনশেড ঘরটি মূলত প্লাস্টিকের খেলনা উৎপাদন ও মজুদের গোডাউন। এখান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেই ভবনের নিচতলায় ‘বরিশাল হোটেল’ নামে একটি হোটেল আছে। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত।
পুরনো ঢাকার চকবাজারে আগুনে পোড়া বহুতলটি থেকে এখনও পর্যন্ত ছয়জনের দেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রসঙ্গত পুরনো ঢাকার ঘিঞ্জি ওই এলাকায় সরু গলির মধ্যেই সারি সারি প্লাস্টিকের কারখানা ও প্লাস্টিক পণ্যের গুদাম রয়েছে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল পুরান পুরনো ঢাকার লালবাগে একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। তারও আগে গত ১৮ মার্চ বংশালের নিমতলী এলাকায় প্লাস্টিকের পাইপের কারখানায় আগুন লাগে। একই মাসের ২৪ তারিখ পুরনো ঢাকার মৌলভীবাজারে একটি ছয়তলা বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় আগুন লাগে। এর আগে গত ১২ ফেব্রয়ারি পুরনো ঢাকার মাহুতটুলীর একটি ভবনের নিচতলায় পলিথিনের কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে।