জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি কোটা বিরোধী আন্দোলনে তপ্ত হয়ে উঠেছিল সেই দেশ। তারপরই ওই সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় শেখ হাসিনার সরকার। কোটা বিরোধী আন্দোলনে মদত ও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আন্দোলনের জেরে নিহত হয়েছেন ১৫০ এরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন বহু। অনেক সরকারি সম্পত্তি নষ্টও হয়েছে।
শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতৃত্বাধীন ১৪টি দল একটি বৈঠক করে। তারপরই জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই বৈঠকে হাসিনার সঙ্গে থাকা প্রায় সব দল জামাত-কে ব্যান করার পক্ষে সওয়াল করে। তারপর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই জামাত-ই-ইসলামিকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দলটি সেদেশের কট্টরপন্থী মৌলবাদী দল বলে পরিচিত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি-র জোট শরিক এই জামাত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জামাত-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৯৪১ সালে অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ আমলে এই দলের প্রতিষ্ঠা হয়। হাসিনা সরকার অভিযোগ করেছে, কোটা বিরোধী আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীরা হিংসার আশ্রয় নেননি বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁরা হয়তো জড়িত ছিলেনও না সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিতে। এর পিছনে মদত রয়েছে জামাতের। তাই তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, জামাত ও বিএনপি-র মদতপুষ্ট ছাত্র সংগঠনগুলো সারাদেশে বিক্ষোভে জড়িত ছিল। তারাই হিংসায় জড়িত ছিল। সেই প্রমাণও মিলেছে। আওয়ামি লিগ জানিয়েছে, জামাত-শিবিরকেনিষিদ্ধ করার আগে সব আইনি দিক ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হবে। যাতে,আইনি ফাঁকফোকর এড়ানো যায়।
উল্লেখ্য, ২৮ জুলাই থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয় বাংলাদেশে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভুয়ো খবর ও ভিডিও ছড়ানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তা রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তারপর রবিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। বাংলাদেশের মন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ পলক সংবাদমাধ্যমকে জানান, রবিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর ৩টে থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা সচল করা হয়েছে। এখন ফোর জি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ফাইভ জি পরিষেবা চালু করা হবে।