দুই বাংলারই জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। সৌদি আরব থেকে ফিরতেই বিমানবন্দর এলাকা থেকেই গ্রেফতার হন অভিনেত্রী। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মাহিকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শুক্রবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ উল্টে মাহিকেই গ্রেফতার করে। ন'মাসের অর্ন্তঃসত্ত্বা মাহিকে গ্রেফতারের পরই গর্জে উঠেছে বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
পরীমণীর পোস্ট
অর্ন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে অভিনেত্রীকে পুলিশ ভ্যান থেকে ধাক্কা দিয়ে নামানো হচ্ছে, সেই ছবি সামনে আসার পরই বাংলাদেশের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে। বাংলাদেশের আরও এক অভিনেত্রী পরীমণী মাহির গ্রেফতারি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। পরীমণী তাঁর ফেসবুক পোস্টে মাহির গ্রেফতারের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘এইটা কোনও কথা না ভাই। চুপ করে থাকতে থাকতে কখন যে বোবা হয়ে যাবো আমরা। দেখছেন মাহীর দিকে। বুক কাঁপলো না আপনাদের! একজন অন্তঃসত্ত্বার এই শারীরিক ও মানসিক ধকলের দায়ভার কে নিচ্ছে তাহলে! আইনের এই খেলা বন্ধ হোক। মাহিকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক।’
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার প্রেগন্যান্ট বাংলাদেশি নায়িকা মাহিয়া মাহি
মাহি ও তাঁর সন্তানের যেন ক্ষতি না হয়
এই মামলায় অভিযুক্ত মাহির স্বামী রাকিব সরকার এখনও পলাতক। তবে এই মুহূর্তে সকলেরই উদ্বেগের কারণ একটাই যে মাহি নমাসের অর্ন্তঃসত্ত্বা। পরীমণীর আগে দুই বাংলার আরও এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া এহসানও মাহির গ্রেফতারি নিয়ে সমালোচনায় সামিল হন। তিনি আর্জি জানিয়েছেন যে মাহির শরীরের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। গর্ভধারিণী মা এবং তাঁর সন্তানের যেন কোনও ক্ষতি না হয় বলেও জানান জয়া। অভিনেত্রী নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাত্রই খবরে পড়লাম, পুলিশ তাঁকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি। মাহি জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কিন্তু দেশের সব নাগরিকের মতো তিনিও আইনের অধীন। তবে এই কথাটা বিশেষ ভাবে মনে রাখা দরকার, তিনি এখন নয় মাসের অর্ন্তঃসত্ত্বা। জয়া এহসান এও জানিয়েছেন যে মাহি যে নমাসের গর্ভবতী সেটাও যেন মাথায় রাখে বাংলাদেশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: 'বৃদ্ধও বলতে পারেন, আমার যৌনক্ষমতা আছে, আমি খুবই যৌনসক্ষম!'
মাহির অভিযোগ
এখানে উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। নায়িকা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর গাড়ির শোরুমে ভাঙচুর চালিয়েছে প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন এবং মামুন সরকারের লোকজন। যদিও মাহির সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। উল্টে সেই প্রতিবেশী মাহি এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভাঙার অভিযোগে নায়িকাকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ৷