কলকাতা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ভুবনেশ্বরের ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার স্টেশনের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে। করমন্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী ট্রেন সহ তিনটি ট্রেন এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ কাছাকাছি। এই দুর্ঘটনা এতটাই মর্মান্তিক ছিল যে এটি দেশের বড় রেল দুর্ঘটনার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ওড়িশার এই দুর্ঘটনা কেবল এদেশেই নয় উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে সফর করা বাংলাদেশি নাগরিকদের খোঁজ নিতে রবিবার ওড়িশার হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি দল।
অনেকেই প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন চিকিৎসা করাতে। বিশেষত, ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যান অনেকেই। দক্ষিণ ভারতে যাত্রা করে এমন ট্রেনে নিয়মিত সফর করেন তাঁরা। শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসেও এমন বাংলাদেশের একাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি পরিবার শুক্রবার রাত থেকেই যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে দুজনের পরিবার জানাচ্ছে শুক্রবার দুপুরে তাঁদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় শেষবার। তারপর থেকে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। এই দুজন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন। চেন্নাই যাচ্ছিলেন। আরও দুজনের পরিবার জানাচ্ছে তাদের আত্মীয়রা ওড়িশার কোনও হাসপাতালে ভর্তি। আহত অবস্থায় অন্য কারও ফোন থেকে কথা বলে পরিবারকে এইটুকু জানাতে পেরেছেন তাঁরা।
দেশের নাগরিকদের খোঁজে রবিবার ওড়িশার হাসপাতালে পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের সদস্যরা। তারা হাসপাতালে যেখানে আহতরা ভর্তি সেই জায়গায় যান। দেশের ৫ জন নাগরিক সেখানে রয়েছে কিনা তার খোঁজ নেন। করমন্ডল এক্সপ্রেসে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি।