আর মাত্র হাতে গোনা দিন। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। প্রতিবেশী দেশটি এখন নির্বাচনে উত্তাপে ফুটছে। ভারতে ২০২৩ সালে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হয়েছে। এরফলে আইন সভায় এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এদিকে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে কতজন মহিলা প্রার্থী ময়দানে লড়ছেন এই নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই। তারওপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আবার মহলিা। চলুন বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার কতজন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন, জেনে নেওয়া যাক।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ১২০ জন প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে একমাত্র নারী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তিনি চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে আওয়ামী লিগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি চট্টগ্রাম-২ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, ফটিকছড়ি উপজেলার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হোসেন মো. আবু তৈয়ব-সহ আরও সাত প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে চট্টগ্রামের মত ছবি বাংলাদেশের আর কোনও প্রান্তে নয় বলেই দাবি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এবার ভোটের মাঠে নেমেছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক মহিলা। গত নির্বাচনের তুলনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মহিলাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে ৩৮.২৪ শতাংশ। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটের লড়াইয়ে ৩০০ আসনে ১ হাজার ৮৯৫ প্রার্থীর মধ্যে মহিলা রয়েছেন ৯৪ জন। এর মধ্যে ২৬ জন লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আর নির্বাচনে আসা ২৭টি রাজনৈতিক দলের ১৪টি মনোনয়ন দিয়েছে ৬৮ জন মহিলাকে।।
অর্থাৎ মোট পুরুষ প্রার্থীর তুলনায় বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন ৫ শতাংশ নারী। সেইসঙ্গে ভোটের মাঠে আছেন ২ ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীও। নির্বাচনে প্রধান দল আওয়ামী লিগ মহিলা প্রার্থী করেছে ২০ জনকে। জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপি ৯ জন করে, তৃণমূল বিএনপির ৬জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ৩ জন করে এবং গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ২ জন করে মহিলা প্রার্থী রেখেছে। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি একজন করে নারী প্রার্থী দিয়েছে।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আগে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আরও এক মহিলা খালেদা জিয়া। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবেশী দেশটির রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ মহিলা নেতৃত্বের হাতেই রয়েছে। সংসদ ও সংসদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে মহিলাদের দেখা যাচ্ছে। তবে সামগ্রিক রাজনীতিতে মহিলারা কিছন্তু পিছিয়েই রয়েছেন।