দেবদাস। সঞ্জয়লীলা বনশালির এই ছবিকে হিন্দি ছবির জগতে মাইলস্টোন হিসেবে ধরা হয়। সেই ছবির ১৯ বছর পূর্ণ হল।
আর বিশেষ দিনে সেই ১৯ বছর আগের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়র করেছেন 'দেবদাস' শাহরুখ খান। হাসি-মজা করে কীভাবে সেটে কাজ করেছেন তা জানিয়েছেন নিজেপ ফেসবুক প্রোফাইলে।
লিখেছেন, অনেক রাত, খুব সকাল। সব মনে আছে। অনেক সমস্যা ছিল। তবে কাজ নির্বিঘ্নে এগিয়ে গিয়েছিল। কারণ, মাধুরী দীক্ষিত, জ্যাকি শ্রফ, কিরণ খের, ঐশ্বরিয়ার মতো সব শিল্পীরা কাজ করেছিলেন। আর সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সঞ্জয়লীলা বনশালি।
তারপরই শাহরুখ মজা করে লেখেন, 'শুধু একটাই ইস্যু ছিল। আর তা হল আমার ধুতিটা বারবার খুলে যেত।' প্রসঙ্গত, দেবদাস ছবির অনেক দৃশ্যে ধুতি পরে দেখা গিয়েছিল শাহরুখকে। সেই কারণে তাঁকে বারবার ধুতুি পরতে হত। আর পরতে গিয়ে ও ধুতি সামলাতে যে .হিমশিম খেতে হত, সেই অভিজ্ঞতার কথায় বলতে চেয়েছেন কিং খান।
২০০২ সালে মুক্তি পায় দেবদাস। তখন এটিই ছিল বলিউডের সবথেকে বড় বাজেটের ছবি। এই ছবির জন্য যে সেট বানানো হয়েছিল তা প্রায় ৯ মাস ব্যবহার হয়েছিল।
সেটের সবথেকে মূল্যবান জায়গা ছিল চন্দ্রমুখী (মাধুরি দীক্ষিতের) কোঠা। সেটি বানাতে খরচ হয়েছিল ১২ কোটি টাকা।
পারো অর্থাৎ ঐশ্বর্যের সেট বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা।
ছবির কলা-কুশলীদের পোশাকের উপরও যথেষ্ট খরচ করেছিলেন পরিচালক সঞ্জয়। শোনা যায়, মাধুরী দীক্ষিতের শাড়ির জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। একটি শাড়ি তো বানাতে প্রায় ২ মাস সময় নিয়েছিলেন কারিগররা।
এও শোনা যায়, ঐশ্বর্যর জন্য কলকাতা থেকে প্রায় ৬০০টি শাড়ি কেনা হয়েছিল। প্রতিদিন প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লাগত ঐশ্বর্যকে শাড়ি পরাতে ও মেক-আপ করাতে।