মিসেস ইউনিভার্স ২০২৩ নিয়ে উত্তেজনা বেশ তুঙ্গে। কে হতে চলেছেন পরবর্তী মিসেস ইউনিভার্স তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে জোরালো ভাবে নাম উঠে আসছে অপূর্বা রাই-এর। আপনি কী কোনওদিন এর আগে এঁনার নাম শুনেছেন? হয়ত শোনেননি। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই অপূর্বা রাই কে। কারণ ইনি অনেক বড় সফলতা অর্জনের জন্য বুলগেরিয়া গিয়েছেন।
অপূর্বা রাই আগে মিসেস সাউথ প্যাসিফিক এশিয়া ইউনিভার্স ২০২২-এর খেতাব জিতেছেন। বর্তমানে তিনি মিসেস ইউনিভার্স ২০২৩-এ অংশ নেওয়ার জন্য বুলগেরিয়া গিয়েছেন।
দুদিন আগেই অপূর্বা রাইকে মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে। তিনি বিমানবন্দরেই জানিয়েছেন যে বুলগেরিয়াতে তিনি ভারতের হয়ে মিসেস ইউনিভার্স ২০২৩-এ প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন। আর এটা তাঁর জন্য খুবই বড় প্ল্যাটফর্ম।
অপূর্ব রাই যখন মিসেস সাউথ প্যাসিফিক এশিয়া ইউনিভার্স ২০২২ খেতাব জিতেছিলেন, তখন তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে, কিন্তু অপূর্বা কখনও স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। বেঙ্গালুরুতে বসবাসকারী অপূর্বা একজন বিজনেস ওম্যানও।
তার নিজস্ব কসমেটোলজিস্ট ক্লিনিক আছে, যেখানে ত্বকের চিকিৎসা করা হয়। স্বামীর নাম পবন শেঠি। প্রথম থেকেই দেশের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন অপূর্ব রাই। তাই বিয়ের আগে থেকে না হলেও বিয়ের পর থেকে তিনি এই খেতাব নিজের নামে করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন।
যদিও, অপূর্ব রাই বিয়ের আগেই মডেলিং জগতে পা রাখতে চেয়েছিলেন, তবে সম্ভবত তাঁর ভাগ্য অন্য কিছু চেয়েছিল। তিনি বলেন, যা হয় ভালোর জন্যই হয়।
অপূর্বা রাইয়ের সঙ্গেও এরকমই কিছু হয়েছে। ২০১৬ সালে অপূর্বা রায় ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া অংশগ্রহণ করেন কিন্তু তিনি জিততে পারেন। কিন্তু এরপর পরিস্থিতি এমন আসে যে তিনি এই সফর চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি।
বিয়ে করলেন অপূর্বা রাই। বিয়ের পর, তিনি মিসেস সাউথ প্যাসিফিক এশিয়া ইউনিভার্স ২০২২ হন। অপূর্বা রাইয়ের একটাই বিশ্বাস ছিল যে নিজের স্বপ্নে কখনও বিরতি আনবে না।
বর্তমানে অপূর্বা রাই ফিটনেস ফ্রিক হওয়ার পাশাপাশি বেশ গ্ল্যামারসও তিনি। এটা বলা কোনও ভুল নয় যে অপূর্বা দেশের সব বিবাহিত নারী ও মায়েদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।