বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর (Nawazuddin Siddiqui) নামটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে নেওয়া হয়। অভিনেতা তাঁর কেরিয়ারে এমন শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করেছেন যে তিনি দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছেন। প্রায় প্রতিটা ছবিতেই তাঁর অভিনয় দেখলেই বোঝা যায় যে তিনি কতটা উৎসাহের সঙ্গে এবং নিজেকে উৎসর্গ করে কাজটি করেন।
আজ নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর কেরিয়ারে এই সাফল্য হলেও তাঁর জীবনে রয়েছে একটা কঠিন গল্প। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নাম অর্জনের জন্য নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে অনেকটা লড়াই করতে হয়েছিল। দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতা ও প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও চেহারার কারণে প্রাথমিকভাবে তিনি অনেক কাজ পাননি। আজ এই গুণী শিল্পীর ৪৭ তম জন্মদিন।
নওয়াজ ছোট ছোট বহু চরিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 'শূল', 'মুন্নাভাই এমবিবিএস', 'সরফরোশ' সহ অনেক ছবিতে খুব অল্প সময়ের জন্য তাঁর উপস্থিত ছিল। তবে আজ অভিনেতার একাধিক অনুগামীরা যে কোনও ভাবেই তাঁকে পর্দায় দেখে খুশি হন।
কেরিয়ারের শুরুতে, যখন কোনও বড়মাপের কাজ বা চরিত্রে পাচ্ছিল না, তখন তিনি থিয়েটারে অভিনয় করতেন। তবে অনেকেরই অজানা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেই সময়ে তিনি থিয়েটারের পাশাপাশি একজন প্রহরী হিসাবেও কাজ করতেন।
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এখনও অবধি, 'ব্ল্যাক ফ্রাইডে', 'নিউ ইয়র্ক', 'দেব ডি', 'কাহানী', 'গ্যাংগস অফ ওয়াসিপুর', 'পান সিং তোমার', 'তালাশ', 'বোম্বে টকিজ', 'দ্য লাঞ্চবক্স', 'বাবুমশাই বন্দুকধারী'-র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
বায়োপিকের সঙ্গেও নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর গভীর সংযোগ রয়েছে। তিনি 'মঞ্জি দ্য মাউন্টেন ম্যান', 'ঠাকরে', 'সাদাত হাসান মান্টো' এবং 'রমন রাঘব ২.০'- র মতো বায়োপিকে অভিনয় করে একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন।
১৯৭৮ সালের ১৯ মে বুধানার, মুজফফরনগরের একটি গ্রামে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর জন্ম হয়। তিনি ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নওয়াজ তার অভিনয় জীবনের অনুপ্রেরণা হিসাবে নাসিরউদ্দিন শাহ, কমল হাসান, দিলিপ কুমার এবং আশীষ বিদ্যার্থীর মতো অভিনেতাদের অনুসরণ করেন।
আলিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। আলিয়া- নওয়াজের ব্যক্তিগত জীবনে বহু উত্থান-পতন হয়েছে। এমনকি তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। তবে বর্তমানে তাঁদের মধ্যে সব কিছু ঠিকঠাক আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সমস্ত ছবি সৌজন্য, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর ইন্সটাগ্রাম।