বলিউড স্টার্স কিডসরা সবল সময় চর্চায় থাকেন। আজকে ইয়ংস্টারদের নিয়ে কম ফুটেজ খরচ হয় না। এক সময় ছিল আজকের যারা ফেমাস এক্টর, তাঁরা তখন চর্চায় থাকতেন। দেখে মনে হয় কোন স্ট্রাগল করতে হয়নি।
কিন্তু মানুষের জীবনের একটা আলাদা সত্যি থাকে, একটা গল্প থাকে। এমনই একটি গল্প আজকের সময়ের অ্যাক্ট্রেস রবিনা ট্যান্ডনের। এমন এক সময়ে সময়ে স্টুডিওতে সাফাইয়ের কাজ করতেন। এ বিষয়ে রবিনা নিজেই ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন।
রবিনা ট্যান্ডন ১৯৯১ সালের ফিল্ম পাত্থর কা ফুল সিনেমায়ে ডেবিউ করেন। তিনি ফিল্মমেকার রবি ট্যান্ডনের মেয়ে। তা সত্ত্বেও পাওয়ার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।
তিনি জানিয়েছিলেন, যে কীভাবে তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি স্টুডিও সাফাইয়ের কাজ করতেন। তিনি সেখানে বাথরুমে বমি সাফ করার কাজ করতেন। রবিনা মিড ডে পত্রিকায় ইন্টারভিউতে কথাবার্তার সময় জানিয়েছিলেন যে এটি সত্যি কথা আমি স্টুডিওতে সাফাইয়ের কাজ করতাম।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার কাজ বাথরুমের মেঝেতে বমি পরিষ্কার করা ছিল। আমি প্রথমে ১০ম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রহ্লাদ কক্কড়কে বেরোনোর পর অ্যাসিস্ট করি।
তখন লোকেরা আমাকে বলতে শুরু করে তুমি ক্যামেরার পিছনে কি করছো? তোমার তো আগে আসা উচিত ছিল। এবং আমি বলতাম না না, আমি আর অ্যাক্ট্রেস! কখনও না। আমি আজ এই ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্মস্টার হয়ে গিয়েছি।
ইন্ডাস্ট্রিতে আমি ডিফল্ট থেকেই রয়েছি। তাই আমি বড় হওয়ার সময় কখনও ভাবিনি যে আমি অভিনেত্রী হব। প্রহ্লাদের কাছে ইন্টার্নশিপ করার সময় আমাকে তিনি মেকআপ করতে বলতেন এবং আমাকে পোজ দিতে বলতেন। তখন আমি ভাবি যে আমাকে যদি এসব করতেই হয় তাহলে কেননা আমি এখান থেকে কিছু পকেটমানি কামিয়ে নিই।
তখন আমি এক্টিং, ডান্সিং কিছুই জানতাম না এবং এই পকেটমানি কামানোর চক্করে আমি মডেলিং শুরু করি। এরপরে আমি ফিল্মের অফার অফার পাই। আমি ভাবি যে আমি আস্তে আস্তে কত কিছু শিখেছি।