এলেন দেখলেন জয় করলেন। কথাটি দিব্যা ভারতীর ক্ষেত্রে ভীষণ প্রযোজ্য। খুব অল্প বয়সে খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছিলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে একটি দুর্ঘটনায় চলে যান তিনি। বেঁচে থাকলে আজ ৪৭ পূর্ণ করতেন। জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে জানুন কিছু অজানা তথ্য।
দিব্যা-কে ভারতীয় সিনেমায় অন্যতম সেরা সুন্দরী অভিনেত্রীর আখ্যা দেওয়া হয়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন তিনি। সুপারস্টার ভেঙ্কটেশ ডাগ্গুবতীর সঙ্গে তেলুগু ছবি বোব্বিলি রাজা-য় (১৯৯০) ডেবিউ করেন। ১ বছরের মধ্যে তেলুগু সিনেমায় সেরা নায়িকাদের মধ্যে জায়গা করে নেন। তবে অত্যন্ত অল্প বয়সেই ধূমপান, মদ্যপান এবং ড্রাগসের নেশাতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
১৯৯২ সালে বিশ্বাত্মা ছবিতে বলিউড ডেবিউ করেন দিব্যা। ছবিটি বড় হিট না করলেও দিব্যা নজরে পড়ে যান। সেই ছবির সাত সমুন্দর পার ম্যায় তেরে পিছে পিছে আ গয়ি গানটি এখনও সমান জনপ্রিয়। নবাগতা হিসাবে এক সঙ্গে ১২টি ছবি সাইন করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর দখলে। শুধু তাই নয়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে হাইয়েস্ট পেইড অভিনেত্রীদের তালিকায় নাম করেন তিনি।
১৯৮৮ সালে গুনাহো কে দেবতা নামের একটি ছবিতে তাঁকে নেওয়া হলেও অত্যন্ত শিশু সুলভ ব্যবহারের কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। একই ভাবে রাধা কা সঙ্গম ছবিতেও বাদ পড়েন তিনি। তাঁর জায়গায় সেই ছবিগুলি করেন যথাক্রমে সঙ্গীতা বিজলানি এবং জুহি চাওলা।
সম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ মিলিয়ে মোট ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেন দিব্যা। যার মধ্যে শোলা অউর শবনম, দিওয়ানা, দিল আশনা হ্যায়-র মতো সিনেমা রয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে দিব্যা বলেন, 'আমি লেখাপড়ায় অত্যন্ত খারাপ ছিলাম। তাই ছোট থেকেই সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট হই। স্বপ্ন ছিল হিরোইন হবো। যখন সত্যইই হলাম তখন কাজের চাপে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করত মাঝে মাঝে।'
যখন তিনি মারা যান সে সময় তিনি লাডলা, আনোদলন, মোহরা, বিজয়পথ-এর মতো সিনেমায় কাজ করছিলেন। এর মধ্যে কয়েকটি সুপার হিট হয়। দিওয়ানা ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা নবাগত অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান।