বলিউডে অল্প কয়েক বছরের কেরিয়ার সোমি আলির। তবে নিজের সিনেমার জন্য নয়, সালমান খানের প্রাক্তন প্রেমিকা হিসাবেই বেশি পরিচিতি পেয়েছেন এ দেশে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সোমি জানান, প্রথমবার যৌন হেনস্থার শিকার হন ৫ বছর বয়সে। ৯ বছরে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। ১৪ বছরে ফের একবার ধর্ষণ হয় তাঁর।
সোমি বলেন, 'প্রথমবার আমি যৌন হেনস্থার শিকার হই যখন আমার বয়স মাত্র ৫ বছর। পরে ৯ এবং ১৪ বছর বয়সে আরও ২ বার ধর্ষিতা হই। সব ঘটনা বাড়িতেই হয়েছিল। বাবা-মাকে জানিয়েছিলাম ঘটনা নিয়ে। তাঁরা ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। কিন্তু এটাও বলেছিলেন, যে এ বিষয়ে যেন আমি মুখ না খুলি। বহু বছর আমার মাথায় এই চিন্তাই ঘুরপাক খায়, আমার দোষ কোথায় ছিল? আমায় বাবা-মা এমন কেন বললেন? পাকিস্তান এবং ভারতে সামাজিক প্রতিপত্তি এবং সম্মান ক্ষার জন্য এমন বহু মেয়েকে মূল্য চোকাতে হয়। আমাকে তাঁরা সম্মান হানির হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন, সেটা এখন বুঝতে পারি।'
গত ১৪ বছর ধরে তিনি No More Tears নামে একটি এনজিও চালাচ্ছেন। যার কাজ ধর্ষণ এবং যৌন অত্যাচারের শিকার মেয়েদের উদ্ধার করে তাঁদের নতুন জীবন ফিরিয়ে দেওয়া। সোমি আরও যোগ করেন, 'ছোটবেলার সেই স্মৃতি আমায় কুড়ে কুড়ে খেত। আমি কোথাও মুখ খুলতে পারতাম না। ৩ বছর আগে প্রথমবার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলি। ১৪ বছর ধরে এই এনজিও চালানোর পরেও শান্তি পাইনি। নিজেকে হিপোক্রিট মনে হত। খোলাখুলি কথা বলার পর শান্তি পেয়েছি।'
একই সঙ্গে তিনি খারাপ অভিনয় এবং নাচ করার জন্য বলিউডের নায়কদের কাছে ক্ষমাও চান। তালিকায় সালমান খান, মিঠুন চক্রবর্তী, সইফ আলি খান, সুনীল শেট্টির মতো তারকারা রয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি পরিচালকদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো ছিলাম। রিহার্সালে যেতে চাইতাম না। ভীষণ টমবয় ছিলাম। এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য একেবারেই সঠিক ব্যক্তি ছিলাম না। অভিনয়ে কেরিয়ার গড়ার কোনও ইচ্ছাই আমার ছিল না। তাই সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ধন্যবাদ আমায় সহ্য করার জন্য।'