দীপাবলিতে মুক্তি পেয়েছিল কার্তিক আরিয়ানের 'ভুল ভুলাইয়া ৩'। বক্স অফিসে বিপুল সফলতা পায় এই ছবি। সাফল্য এখনও উপভোগ করছেন কার্তিক। এজেন্ডা আজতক ২০২৪-এ উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা। 'চন্দু চ্যাম্পিয়ন' ছবির জন্য শারীরিক রূপান্তর, কড়া ডায়েট থেকে বিয়ে নিয়ে এবার খোলামেলা আলোচনা করলেন অভিনেতা।
কার্তিক আরিয়ান এদিন একটি মজার গেম খেলেন, যেখানে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে তাঁকে মিথ্যা বলতে হয়েছিল। খেলা চলাকালীন অভিনেতা বিয়ে নিয়েও কথা বলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি কি চিকিৎসক পাত্রী খুঁজছেন বিয়ের জন্য? জবাবে তিনি বলেন, 'আমি এখন বিয়ের জন্য কোনও পাত্রী খুঁজছি না। তবে হ্যাঁ, ঠিক আছে। আমি একজন চিকিৎসক খুঁজছি।' হানিমুনে কোথায় যাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কার্তিক বলেন, 'বিয়ের কথা না ভাবলে, হানিমুনের কী হবে।' তারপর হাসতে হাসতে বলেন, 'আমি লাক্ষাদ্বীপে যেতে চাই।'
'চন্দু চ্যাম্পিয়ন' ছবির জন্য বিরাট শারীরিক পরিবর্তন করতে হয়েছে কার্তিক আরিয়ানকে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কবীর স্যার, সাজিদ স্যার আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না। আমি এই ছবির জন্য দেড় থেকে দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। সব কিছু শিখেছি। বক্সিং থেকে শুরু করে সাঁতার। অলিম্পিয়ান এবং প্যারালিম্পিয়ানরা আমাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এর আগে আমি সাঁতার জানতাম না। যখন আমি প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিলাম, তখন আমি আমার পা ব্যবহার না করেই সাঁতার শিখে যাই।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি ডায়েট এবং ট্রেনিং করেছি। ফলে সিঙ্গেল ডিজিট ফ্যাটে পৌঁছেছি। আগে আমি সব সময় খাবারের পরে মিষ্টি খেতাম। তবে এই ছবির কাজ শেষ করে, দু'বছর পরে রসমালাই খেয়েছি। কবির স্যার আমায় সেটা খাইয়েছেন।'
ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্য প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, 'আমি নিজের চেষ্টায় এই জায়গায় পৌঁছেছি এবং এজন্যে আমি খুবই গর্বিত। কেউ সবটা সাজিয়ে একটা থালায় দিলে, আমার এত ভাল লাগত না। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভাল মানুষের সঙ্গেও কাজ করেছি। আমি অনেক আগেই এসব চিন্তা করা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি অনেক পরিশ্রম করেছি এবং একটা ভাল সুযোগের অপেক্ষায় থাকতাম। মনে মনে ভাবতাম ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের মানুষ যে সুযোগ পাবে হয়তো আমি পাব না। কিন্তু এরপর আমার সেই ভুল ভেঙে যায়।'