কঙ্গনা রানাওয়াতের পাঠানো ইমেল কাণ্ড নিয়ে তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনকে তলব করল মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই মর্মে খবর প্রকাশিত হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। ২০১৬ সালে ইমেল কাণ্ড নিয়ে মুম্বই পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন হৃত্বিক। তাঁর অভিযোগ ছিল, গত চার বছরে এই মামলা বেশিদূর এগোয়নি। গত বছর মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছিলেন হৃত্বিকের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। গত ১৫ ডিসেম্বর মামলা সাইবার সেল থেকে সরিয়ে ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিট (Crime Intelligence Unit)-এর দায়িত্বে দেওয়া হয়। ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিট আগামী কাল হৃত্বিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে।
বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই গত ডিসেম্বর মাসে হৃত্বিককে কটাক্ষ করে কঙ্গনা টুইট করেন, 'আবার শুরু হল। আমাদের ব্রেক-আপের এত বছর পর। এখন তো ওর ডিভোর্সও হয়ে গিয়েছে। তবুও কিছুতেই এগোতে পারছে না। কোনও মেয়েকে ডেট করছে না। যখন আমি সাহস জুগিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে এগোনোর চেষ্টা করছি তখন আবার এই নাটক শুরু করল। আর কতদিন এভাবে কাঁদবে একটা ছোট্ট অ্যাফেয়ারের জন্য?'
হৃত্বিকের অভিযোগ ছিল, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে ১৪৩৯টি মেল পাঠানো হয়েছে। এই সমস্ত ই-মেল তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। হৃত্বিকের আইনজীবী দাবি করেন, কঙ্গনার কিছু মন্তব্যে তাঁর মক্কেলের মানহানি হয়েছে। এর ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯-এর ৬৬ (সি এবং ডি) ধারায় মামলাও রুজু হয়েছিল। সেটি এবার হস্তান্তরিত হল ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিটে।
২০১৬-তে এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা হৃত্বিককে 'সিলি এক্স' বলে খোঁচা দেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। এরপরই ই-মেল চালাচালির ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হৃত্বিক।
২০১০-এ 'কাইট'-এ একসঙ্গে অভিনয় করেন হৃত্বিক-কঙ্গনা। এরপর ২০১৩-তে 'কৃশ ৩'-তে অভিনয়ের সময়ই দুজনে ঘনিষ্ঠ হন। ২০১৪-তে করণ জোহরের পার্টিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় কঙ্গনা-হৃত্বিকের একটি ছবিও ভাইরাল হয়। কঙ্গনা বরাবর হৃত্বিকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা বললেও, হৃত্বিক এ ব্যাপারে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।