হোয়াটস ইন আ নেম? রোমিও জুলিয়েটে শেক্সপিয়ারের লেখা বিখ্যাত সংলাপ কিন্তু সঞ্জয় লীলা ভানসালীর ক্ষেত্রে খাটে না। নাম নিয়ে তাঁর যত গোল। এর আগেও তাঁর দুটি সিনেমার নাম নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল হয়েছিল। আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় পরিচালক ভানসালীকে। ধীরে ধীরে একই পরিণতির দিকে বোধহয় এগোচ্ছে তাঁর পরবর্তী ছবি গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি। টিজার মুক্তি পাওয়ার পর থেকে দফায় দফায় ছবির নাম নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ছে।
এর আগে ‘বাজিরাও মস্তানি’ ও ‘পদ্মাবত’ ছবির নাম নিয়ে যথেষ্ট হইচই হয়। রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন করনি সেনার আক্রমণের মুখে পড়েন সঞ্জয়। পদ্মাবতী থেকে নাম পাল্টে পদ্মাবত করে তবে মেলে ছবি মুক্তির অনুমতি। বাজিরাও মস্তানি-র ক্ষেত্রে অভিযোগ মূলত পারিবারিক ছিল। তবে তা নিয়েও কম শোরগোল হয়নি।
সোমবার মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়ক আমিন প্যাটেল গাঙ্গুবাই প্রসঙ্গে বলেন বলেন, ছবিটির নাম বদলাতে হবে, কারণ ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ নামে কচ্ছের রণ সংলগ্ন কাথিয়াওয়াড় অঞ্চলের অপমান করা হয়েছে। বিধানসভায় তাঁর আবেদন জানান, ‘এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হোক। মহিলারা এখন এই বৃত্তির বাইরে গিয়েও একাধিক কাজকর্ম করছেন। ছবিতে কাথিয়াওয়াড় এলাকার অপমান করা হচ্ছে। তাই ছবির নাম অবিলম্বে পাল্টানো হোক।’
এর আগে রবিবার ছবিটির টিজার দেখার পর কামাঠিপুরা-র বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেন, এতে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। ছবির প্রেক্ষাপট কামাঠিপুরা। মুম্বইয়ের এই যৌনপল্লিতে গাঙ্গুবাইয়ের প্রবল দাপট ছিল। তবে বাসিন্দাদের দাবি, টিজারে কামাঠিপুরার যে রূপ দেখানো হয়, তাতে অপমানিত বোধ করছেন তাঁরা। এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন তাঁরা।