ক্রমশ বলিউডের আরও নাম মুম্বই ক্রুজ মাদক মামলায় উঠে আসছে। গত কালই আদালতে আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় NCB জানায়, শাহরুখ পুত্রের সঙ্গে একজন উঠতি বলিউড অভিনেত্রীর মাদক এবং ড্রাগ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের হাতে এসেছে। আদালতে তা পেশ করা হয়। এনসিবির তরফ থেকে দাবি করা হয়, এই গোটা ঘটনায় আরিয়ান প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। তাই জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। আদালত জামিন নাকচ করে। বৃহস্পতিবার সকালে আরিয়ান খানের সঙ্গে দেখা করতে যান শাহরুখ। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শাহরুখের বাড়ি মন্নতে তল্লাশি অভিযান চালাল এনসিবি আধিকারিকরা।
এক দিনের মধ্যেই অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের বাড়ির সামনে পুলিশ এবং এনসিবি-র আধিকারিকদের একটি দল পৌঁছায়। যা দেখে মনে করা হচ্ছে সেই উঠতি অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। অনন্যার সঙ্গে শাহরুখের পরিবারের সুম্পর্ক রয়েছে। অনন্যা বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে একজন বলিউড অভিনেতা। শাহরুখ কন্যা সুহানার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে অনন্যার। সেই সুবাদেই আরিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে শোনা যায়।
এর আগেও শোনা গিয়েছিল, তদন্তের জন্য মন্নতে তল্লাশি অভিযআন চালাতে পারে এনসিবি। মন্নতে তল্লাশি প্রসঙ্গে এনসিবি আধিকারিক ভি ভি সিং বলেন, 'তদন্ত এখনও চলছে। কিছু কাজপত্রের কাজ ছিল। সে কারণেই মন্নতে আসতে হয়েছিল। অনন্যাকে এই মামলায় ডাকা হয়েছে তার মানেই তিনি দোষীদের তালিকায় পড়ছেন না। সাক্ষ্য এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।' ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মন্নত ছেড়ে চলে যান এনসিবি আধিকারিকরা।
এর আগে আরিানের সঙ্গে অনন্যার সম্পর্ক নিয়েও ফিসফাস হলেও তা নিয়ে খবর হয়নি। তবে ড্রাগ মামলায় অনন্যার নাম ওঠার পর অনেকেই মনে করছেন, বলিউডের মাদক যোগে নতুন প্রজন্মের অনেকেই জড়িত। অনেকের মতে এটা স্রেফ কাকতালীয়। ঘটনা যাই হোক, এনসিবি-র তদন্তে একের পর এক বড় নাম আসায় অস্বস্তিতে অনেকেই।
গত কাল ২০ অক্টোবর বুধবার আরিয়ানের জামিন আবেদন মুম্বইয়ের দায়রা আদালত খারিজ করে দেয়। এর পর আরিয়ানকে আবারও জেলে যেতে হয়েছিল। জানা গেছে, আরিয়ান খান জামিন না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন এবং কারাগারে কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন বাবা শাহরুখ খান ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আর্থার রোড জেলে পৌঁছান। শাহরুখকে দেখে কেঁদে ফেলেন আরিয়ান।
আরিয়ান খান গত ১৪ দিন ধরে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দি। এনসিবি তার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। আরিয়ান খানের জামিন আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এখন তাঁর আইনজীবীরা বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।