একটানা ২৮ দিন কাটানোর পর বুধবার বাইকুলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। বোম্বে হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিলেও জামিন খারিজ হয়ে যায় তাঁর ভাই শৌভিকের। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে জানান, এতদিন জেলে থাকাকালীন পজিটিভ থাকার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।সাহায্য নিয়েছিলেন যোগ ব্যায়ামের। এমনকি অন্যান্য বন্দীদের জন্যেও যোগ ব্যায়ামের ক্লাস নিয়েছেন রিয়া।
প্রবীণ আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে, এনডিটিভি - কে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, " ব্যক্তিগতভাবে এত বছর পরে আমি একজন মক্কেলকে দেখতে কারাগারে গিয়েছিলাম। কারণ তিনি যখন ছিলেন এবং আমি তার অবস্থা দেখতে চেয়েছিলাম। আমার সৌভাগ্য রেটিনইক খোশমেজাজে ছিলেন এবং কারাগারেও নিজের খেয়াল রেখেছে তিনি কারাগারে থাকা কালিন নিজের সঙ্গে অন্যান্য বন্ধুদের জন্য যোগব্যায়ামের ক্লাস পরিচালনা করেছেন জেলের পরিবেশের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিয়েছিলেন অতি মারির কারণে রিয়ার বাড়ি থেকে তার বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো সম্ভব হয়নি তবুও বাকি বন্ধুদের সাথে ফেনী সঙ্গে তিনি সাধারণভাবে ছিলেন হেনা পরিবারের মেয়ে হওয়ার জন্য তিনি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি নিয়ে লড়াই করেছেন করেছিলেন যে কোন ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার চেষ্টা করলে এবং তার ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তিনি তার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
আইনজীবী মনে করেন রিয়া চক্রবর্তী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন কারণ সুশান সিং রাজপুতের পরিবার তাঁর প্রতি অত্যন্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিল। তিনি বলেন, " রিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন কারণ সুশান্তের পরিবারের এরকম আচরণের সঠিক কারণ জানি না তবে রিয়ার ব্যাপারে ওই পরিবার অত্যন্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ।
আমি আগেও বলেছিলাম যে সিবিআই, এনসিবি ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এই রূপ আচরণ করছে শুধুমাত্র কারণ সে ওই ভদ্রলোকের গৃহবধূ ছিলেন বা সহবাস করতেন বলে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা পার্টনার রাজনগর থানায় রিয়া চক্রবর্তী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে রিয়া, সুশান্তের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন এবং প্রয়াত অভিনেতার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা তছরূপ করেছেন।
রিয়া চক্রবর্তীকে 'বেঙ্গল টাইগ্ৰস' বলে সম্বোধন করে সতীশ মানেশিন্দে বলেন, তাঁর এই কলঙ্কিত ভাবমূর্তি থেকে লড়াই করে নিজেকে ফিরিয়ে আনবেন রিয়া।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ড্রাগ কেসের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য এনসিবি গ্ৰেফতার করে রিয়া চক্রবর্তীকে। বোম্বে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও মুম্বাই পুলিশের কাছে আগামী দশ দিন এবং এনসিবির কাছে আগামী ছয় মাস , মাসে একবার করে হাজিরা দিতে হবে রিয়াকে। জামিনের জন্য অভিনেত্রীকে ১ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিতে হয়েছে। রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের বাড়ীর ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং ড্রাগ পাচারকারী আবেদিল বসিত পারিহার এখনো পর্যন্ত জেলেই রয়েছেন।