আজ সতীশ কৌশিকের জন্মদিন। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি বিরাট বড় নাম। অভিনয় থেকে পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা, সংলাপ লেখা, প্রযোজনা করা - সমস্ত ক্ষেত্রেই তিনি নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেছেন এবং রীতিমত সফল হয়েছেন। জীবনে প্রচুর চড়াই উতড়াই দেখেছেন সতীশ। কখনও একের পর এক ফ্লপ ছবির জন্য ডিপ্রেসড হয়ে পড়েছিলেন। কখনও বাড়তি ওজনের সমস্যায় কাবু হয়েছিলেন। আবার ২৩ কিলো ওজন কমিয়ে সকলকে চমকে দেন।
সম্প্রতি তাঁর ছবি কাগজ দেশে বিদেশে বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন সমালোচকরাও। আজ তাঁর জন্মদিনে সতীশ কৌশিকের সম্পর্কে জেনে নিই কিছু ইন্টেরেস্টিং তথ্য। এমন কিছু কথা যা তাঁকে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। আজকের দিনে ১৯৫৬ সালে মহেন্দ্রগড়ে জন্মেছিলেন সতীশ। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-য় ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। মূলত ক্রিয়েটিভ ফিল্ডে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতেই মুম্বইতে পা রাখেন তিনি। কিন্তু ক্যামেরার পিছন থেকে সামনে আসার ঘটনাটি খুব ইন্টেরেস্টিং।
তিনি বহু স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর অ্যাক্টিং কেরিয়ারে। কিন্তু মিস্টার ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডার তাঁর করা অন্যতম সেরা চরিত্র। কী ভাবে তিনি এ চরিত্রে অভিনয় করলেন, কী ভাবেই বা এমন অদ্ভুত নাম দেওয়া হল চরিত্রের তা জেনে নিন।
মিস্টার ইন্ডিয়া ছবির বহু চরিত্র পছন্দ ছিল সতীশের। তিনি নিজে কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। তবে ছবির পরিচালক শেখর কাপুর প্রায় চরিত্রে অভিনেতা ফাইবাল করে ফেলেছিলেন। শুধুমাত্র ক্যালেন্ডারের চরিত্রে কোনও অভিনেতা তখনও বাছা হয়নি। সতীশ নিজে সিনেমার অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ছিলেন। আর তাঁর উপর পড়ল অডিশন নেওয়ার ভার। সতীশ দেখলেন, এটাই তাঁর কাছে সেরা সুযোগ। যে কোনও ছুতোয় সমস্ত অভিনেতাকে বাতিল করেন সতীশ। স্ক্রিপ্ট তো জানতেনই। নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিয়ে স্ক্রিপ্ট রাইটার জাভেদ আখতার এবং সেলিম খানকে দেখান। প্রথমেই খুব পছন্দ হয়ে যায় তাঁদের।
একই সঙ্গে চরিত্রের নামও তখন চূড়ান্ত হয়নি। সতীশের বাবার এক বন্ধুর লব্জি ছিল ক্যালেন্ডার। তিনি কথায় কথায় শব্দটি ব্যবহার করতেন। জাভেদ আখতারকে তিনি ক্যালেন্ডার নামটি প্রস্তাব করেন। খুবই পছন্দ সকলের। সেটাই চূড়ান্ত করা হয় ছবিতে। সতীশ কৌশিক যে ভাবে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তা আজও অমর হয়ে রয়েছে।