Jiah Khan Suicide Case: জিয়া খানের আত্মহত্যার ঘটনা আবারও খবরের শিরোনামে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর পেরিয়ে গেছে ৯ বছর। কিন্তু আজও এই মামলার রহস্যের সমাধান হয়নি। জিয়ার মা রাবিয়া খান (Rabiya Khan) জানিয়েছিলেন, জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলি (Sooraj Pancholi) তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। জিয়ার মৃত্যুর পরে, জানা যায় যে সুরজ এবং জিয়া একে অপরকে ডেট করছেন, কিন্তু পরে ব্রেকআপ হয়ে যায়। একই সঙ্গে এ মামলার বিষয়ে নতুন আপডেট সামনে এসেছে।
সুরজ পাঞ্চোলিকে নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ
জিয়া খানের আত্মহত্যার মামলায় আদালত বলেছে, রাবিয়া খানকে আবারও ২২ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর পাশাপাশি বিশেষ আদালতে সুরজ পাঞ্চোলিকে নিয়ে নতুন কথা বলেছেন CFSL-এর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট। সাইকোলজিস্টের মতে, সাক্ষাৎকারে কিছু বলতে রাজি ছিলেন না সুরজ পাঞ্চোলি। মনস্তাত্ত্বিকের সন্দেহ, সুরজ অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছিলেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তিনি নীরব ছিলেন।
জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন সুরজ পাঞ্চোলি। Central Forensic Science Laboratory-র একজন সিনিয়র সাইকোলজিস্ট সুরজের সাক্ষাৎকার নিয়ে তদন্ত করেছিলেন, যার রিপোর্ট তিনি সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে ভুয়ো বয়ান দিয়েছিলেন সুরজ। এমনকী জিয়া খানের মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়েও আজেবাজে কথাবার্তা বলে এড়িয়ে গেছেন। তার কথা বলার ধরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে তিনি কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সুরাজ জানেন জিয়ার আত্মহত্যার পেছনের সত্যতা কী।
এলোমেলো কথা বলেন সুরজ পাঞ্চোলি
পরীক্ষকের রিপোর্ট অনুসারে, সুরজকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সম্পর্ক ভাঙার আসল কারণ কী। কারণ কোনও সম্পর্কই রাতারাতি ভেঙে যায় না। এর পিছনে রয়েছে অনেক কিছু। এই প্রশ্নে সুরজ খুব ভাসাভাসা উত্তর দিয়েছেন। তিনি চুপ করে গিয়েছিলেন। মাথা নিচু করে নিয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে সুরজ জিয়া এবং নাফিসার সঙ্গে তার শেষ কথোপকথনটি লুকানোর চেষ্টা করছিল। যা সম্ভবত জিয়ার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পারে। এই সাক্ষাৎকারটি ২০১৫ সালে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মনোজ চালাদানের অধীনে নেওয়া হয়েছিল। এই রেকর্ডিং নিয়ে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট তার রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
মনোবিজ্ঞানী বলেন, জিয়ার মনের শেষ অবস্থা কী ছিল তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিয়ার সঙ্গে তার শেষ কথোপকথন কী ছিল সে সম্পর্কেও সুরজকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুরজের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে যে জিয়ার শৈশব খুব সুখের ছিল না। অনেক মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। মনোবিজ্ঞানীর মতে, জিয়ার হাতে লেখা নোট দেখে অনুমান করা যায় যে তিনি তার ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে কতটা নেতিবাচক ভাবছিলেন। এটাও তার আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।
বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান তার জুহু অ্যাপার্টমেন্টে ৩ জুন ২০১৩ সালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৬ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। এই নোটটি শুধুমাত্র সুরজ পাঞ্চোলির নামে ছিল। এই নোটে জিয়া সুরজের সম্পর্কের অবনতি, ভাঙ্গন এবং প্রেম নিয়ে অনেক কিছুই লিখেছিলেন। এর পরই জিয়ার মা রাবিয়া খান সুরজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। সিবিআই এই মুহূর্তে তদন্ত করছে।