Advertisement

সুশান্ত মৃত্যু মামলার তদন্ত কতদূর? ফের সরব রিয়ার আইনজীবী

প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু মামলার তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের জন্য সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-কে অনুরোধ করেছিলেন। রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে (Satish Maneshinde) তাঁর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।

রিয়া চক্রবর্তীরিয়া চক্রবর্তী
Aajtak Bangla
  • মুম্বই,
  • 28 Dec 2020,
  • अपडेटेड 9:16 PM IST
  • সুশান্তের মৃত্যু মামলায় ফের সরব রিয়ার আইনজীবি।
  • মৃত্যু মামলা তদন্তের এবার ফল প্রকাশ আর্জি।
  • গত ১৪ জুন প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত।

প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু মামলার তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের জন্য সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-কে অনুরোধ করেছিলেন। রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে (Satish Maneshinde) তাঁর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। আইনজীবী বলেছিলেন যে রিয়া নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau/ NCB) একটি ভুয়ো মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সংস্থার জন্যে অভিনেত্রীকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যু মামলা:

সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল এনসিবি। প্রায় টানা একমাস হেফাজতে থাকার পড়ে বোম্বে হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর হয় রিয়ার। সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ রিয়া, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা করার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে রিয়া প্রয়াত অভিনেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা তছরূপ করেছেন।

আরও পড়ুন

রিয়া চক্রবাবারীর আইনজীবীর বক্তব্য:


রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে এক বিবৃতিতে বলেছেন, "সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় সিবিআইয়ের ফলাফল জনসমক্ষে প্রচার করার আহ্বান জানিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অনিল দেশমুখের বক্তব্যকে আমি স্বাগত জানিয়েছি। মুম্বই পুলিশ তদন্তের জন্যে প্রায় ২ মাস সময় নিয়েছিল এবং এই রিপোর্ট প্রকাশ করা। ২০২০ সালের জুলাই মাসে রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে পাটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। মুম্বই পুলিশ, ইডি, এনসিবি এবং পাটনা পুলিশসহ সিবিআই রিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। এনসিবির কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে একটি ভুয়ো মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। বিভিন্ন সংস্থা তাঁকে হেনস্থা করেছে এবং বোম্বে হাইকোর্ট জামিন না দেওয়া পর্যন্ত প্রায় একমাস ধরে তাঁকে হেফাজতে থাকতে হয়েছে।"

Advertisement

সতীশ মানেশিন্দে এই মামলাটি বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেলন। তিনি আরও বলেন, "রিয়া সুশান্তের দিদিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়ার ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে মিশ্র মাদক এবং অবৈধভাবে ওষুধ খাওয়ানো সুশান্তের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সুশান্তের মৃত্যুর ৬ মাসেরও বেশি সময় হয়েছে। আমি সবসময় বলেছি যে, যেই তদন্ত করুক না কেন এই মামলার সত্যটা একই থাকবে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সিবিআই, যেটি দেশের মুখ্য তদন্তকারী সংস্থা গুলির মধ্যে একটি,তদের উচিত তদন্তের ফল এবার সকলের সামনে নিয়ে আসা । এখন সময় এসেছে যে এই দুঃখজনক অনুষ্ঠানের একটা অন্ত হোক।"

সুশান্ত মামলায় অনিল দেশমুখের বক্তব্য:


রবিবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সিবিআইকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু আত্মহত্যা বা হত্যা তা প্রকাশের আহ্বান জানান। তিনি তাদের অনুসন্ধানগুলি সকলের সামনে আনার অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “মহারাষ্ট্র ও দেশের মানুষ সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্তের বিষয়ে সিবিআইয়ের রিপোর্টের জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সকলে আমায় মামলার স্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তাই আমি সিবিআইকে এটি আত্মহত্যা বা হত্যা কিনা তা প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।  সিবিআইয়ের কাছে মামলাটি হস্তান্তরিত হওয়ার পর পাঁচ-ছয় মাস কেটে গেছে। সুতরাং সংস্থার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত।"

প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ মুম্বইয়ে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়। মুম্বই পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে আত্মহত্যা ঘোষণা করে। তবে সুশান্তের পরিবারের অনুরোধের পরে এটি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং এনসিবি যথাক্রমে অর্থ পাচার এবং মাদক তদন্তের জন্যে জড়িত হয়েছিল। গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়া চক্রবর্তীকে সুসন্ত সিং রাজপুত ও মাদক মামলার অভিযোগে এনসিবি গ্রেপ্তার করে। মুম্বইয়ে বাইকুলা কারাগারে প্রায় একমাস থাকার পর তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement