কলকাতার যমজ দুই শিল্পী-ভাই কাজ করতে চলেছেন বিশাল ভরদ্বাজ (Vishal Bharadwaj)-এর সিনেমায়। তাঁরা সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন। ইতিমধ্যে মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন। কাজে নেমে পড়েছেন বলা যেতে পারে।
দুই ভাইয়ের পরিচয়
তাঁরা দুই শিল্পী। এবং যমজ ভাই। একজন সুশ্রুত মুখোপাধ্যায়, ডাকনাম বব (Susruta Mukherjee) এবং অন্যজন শাশ্বত মুখোপাধ্যয়, ডাকনাম ববি (Saswata Mukherjee)। ছবি আঁকাই তাঁদের ধ্য়ানজ্ঞান। তবে সিনেমা তৈরির ইচ্ছাও রয়েছে। এর আগেও বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে-সময় জানিয়েছিলেন, নিজেদের বাসনার কথা। আর সে-কাজে তাঁরা এগিয়ে গেলেন যেন।
তাঁরা কী জানাচ্ছেন?
কথা হচ্ছিল সুশ্রুত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দিন কয়েক আগে ফেসবুকে বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে কাজের ব্যাপারে পোস্ট করেছিলেন। জানালেন, তাঁরা বিশাল ভরদ্বাজের সিনেমায় অ্যাসিস্ট করতে চলেছেন। সেটি একটি ফিচার ফিল্ম। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে আপাতত মুম্বইয়ে। কাজ শুরু হল বলে। তবে আর বাইরে আপাতত আর কিছু জানাতে চাননি।
মনখারাপ?
তাঁদের স্বপ্নপূরণ হচ্ছে বলে খুশির শেষ নেই। আবার কলকাতা ছেড়ে যেতে হচ্ছে বলে সামান্য মনখারাপ। সে কথা জানিয়েছেন সুশ্রুত। নিজের স্বপ্নকে ধাওয়া করলে কিছু জিনিস তো বাদ দিতেই হয়। সে-কথা মাথায় রেখে মনখারাপ দূরে সরিয়েছেন।
অ্যানিমেশন নিয়ে লেখাপড়া
কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে অ্যানিমেশন নিয়ে লেখাপড়া করেছেন ওঁরা। তারপর পেশাদার শিল্পী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। তুমুল প্রশংসিত হয়েছে তাঁদের ছবি, অ্য়ানিমেশন।
এর আগে কাজের অভিজ্ঞতা
বেশি দিন আগের কথা নয়। ২০২০ সালের নভেম্বরের ঘটনা। সে-সময় বিশাল ভরদ্বাজ একটি অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করেছিলেন। নাম 'মাস্ক খো গয়া' (Mask Kho Gaya) সে-কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা।
সে-সময় জানিয়েছিল
আর তখনই তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা সিনেমা বানাতে চান। লেখা আছে। পরিচালনা করতে চান। কোনও না কোনও দিন সেই কাজ শেষ করবেন। আর সে-কথা শুনে বিশাল ভরদ্বাজের প্রতিক্রিয়া ছিল, তাঁরা তাংর পরের সিনেমা তৈরিতে সহযোগিতা করতে পারেন। যাতে সিনেমা তেরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সড়গড় হতে পারেন। এবার এলে গেল সেই সুযোগ।
করোনার সময় তৈরি তাঁদের অ্যানিমেশন
দেশে তখন করোনা থাবা চওড়া করছে। ২০২০ সালের মার্চের পরের ঘটনা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী- সবাই দিশাহারা। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্য়াপারে জানতে শুরু করেছেন মানুষ। তাঁদের আরও সচেতন করতে কিবোর্ড-মাউজ ধরেছিলেন দুই ভাই।
তৈরি করেছিলেন অ্যানিমেশন। মানুষকে সচেতনার পাশাপাশি করোনা-যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছিলেন নিজেদের শিল্পের মাধ্যমে। তবে একই সঙ্গে ছবিতে সমালোচনা করেছিলেন প্রশাসনিক ব্যর্থতারও।