বলিউড এবং হলিউড তারকাদের জীবনে একটি জিনিসে মিল আছে। তা হল - বিতর্ক। যাঁদের মধ্যে কিছু তারকাদের জীবনের বিতর্ক কিছু সময় পরে ইতি ঘটে। অপরদিকে বেশ কিছু তারকা আছেন, যাঁদের জীবনে বিতর্ক পিছু ছাড়ে না। হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স, এই মুহূর্তে আলোচনায় রয়েছেন তাঁর গর্ভাবস্থা নিয়ে। গত কয়েক বছর ধরে আরও একটি বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় চর্চায় এসেছেন এই হলিউড নায়িকা। সাত বছর পরে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার তাঁর জীবনের সেই ভয়ংকর কথাগুলি বলেছেন।
আসলে, কয়েক বছর আগে হ্যাকাররা জেনিফার লরেন্সের নগ্ন ছবি ফাঁস করে। ২০১৪ সালের কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম শিরোনামে আসে। জেনিফার ছাড়াও, সেই সময় রিহানা এবং সেলেনা গোমেজের মতো বড় তারকাদের নগ্ন ছবি ফাঁস হয়েছিল।
ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার সম্প্রতি বলেন- "সে সময়, যে কেউ যে কোনও সময় আমার নগ্ন শরীর দেখতে পারত, আমার অনুমতি ছাড়া। ফ্রান্স থেকে কেউ এই ছবিগুলি প্রকাশ করেছিল, আমার এই ভয় চিরকাল থাকবে।"
হ্যাকাররা জেনিফার লরেন্সের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেন। এরপর সেখান থেকে অভিনেত্রীর আই ক্লাউড হ্যাক করে তাঁর ব্যক্তিগত ছবিগুলি পান। সেলেনা গোমেজ, রিহানের ছবিও ফাঁস হয়েছিল সেই কেলেঙ্কারিতে। এর পাশাপাশি আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, ভিক্টোরিয়া জাস্টিস, কেইট আপটনের অ্যাকাউন্টও হ্যাক করেন হ্যাকাররা।
এই কেলেঙ্কারির পর অভিনেত্রী বলেছিলেন- 'যেহেতু আমি একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, তার মানে এই নয় যে আমি এই সব চেয়েছিলাম। আমার শরীর, আমার ইচ্ছে। কিন্তু এখানে সত্যি হল, এটা আমার ইচ্ছে অনুসারে হয়নি, যা সবচেয়ে খারাপ।"
জেনিফার সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে, ২০১৭ সালে একটি ফ্লাইট ইঞ্জিন ব্যর্থতার ঘটনা তাঁকে দুর্বল করে। সেই ভয়ংকর তিনি এখনও ভোলেননি।
জেনিফার বলে, "আমরা সবাই মারা যাচ্ছিলাম। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের পাগলের মতো ভয়েস মেইল পাঠাতে শুরু করেছিলাম। বলতে শুরু করেছিলাম, আমার জীবনটা অসাধারণ ছিল, আমায় ক্ষমা করে দাও।" জেনিফারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা যে কোনও ব্যক্তিকেই নাড়া দেবে।
জেনিফার এবং তাঁর স্বামী কুক ম্যারোনি শীঘ্রই তাঁদের প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানাবেন। অভিনেত্রীকে সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলসে একটি ফিল্ম স্ক্রিনিংয়ে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর সঙ্গে দেখা গেছে। সেই সময় জেনিফারের বেবি বাম্প স্পষ্ট ছিল।