অস্কারের মঞ্চে শুধু দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার জয়জয়কার নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করল বাঙালি পরিচালক শৌনক সেন। তাঁর তথ্যচিত্র ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ মনোনীত হয়েছে অস্কার পুরস্কারের মঞ্চে লড়াইয়ের জন্য। এর আগে বাঙালির অস্কার জয় বলতেই মনে পড়ে সত্যজিৎ রায়ের কথা। কিংবদন্তী পরিচালকের আজীবন কাজকে স্বীকৃতি দিয়ে পুরষ্কার দিয়েছিল অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স।
বাঙালি ছেলের অস্কার সফর
শৌনকের আগে অবশ্য ২০২১ সালে বঙ্গতনয় সুস্মিত ঘোষের তৈরি তথ্যচিত্র ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’-ও সেরা তথ্যচিত্রের লড়াইয়ে মনোনীত হয়েছিল। তবে মনোনয়নই শেষ এরপর সেটা বিবেচিত হয়নি। তাই অস্কারের মঞ্চে এখনও পর্যন্ত বাঙালি বলতে এই দুজনই । তবে ভারতীয় সিনেমা হিসাবে আমির খানের লগান, স্লামডগ মিলিওনেয়ার গিয়েছি। কিন্তু শৌনকের বিষয়টা একেবারে আলাদা। ভারতীয় তো বটেই, তাও আবার বঙ্গ সন্তান। শেষ বিচারে তাঁর তথ্যচিত্র বিচারকদের কাছে বিবেচ্য হয় কিনা সেটার অপেক্ষায় রয়েছেন আপামর বাঙালি।
আরও পড়ুন: RRR Movie In Oscar: গোল্ডেন গ্লোবের পর অস্কারের মঞ্চ, ইতিহাস গড়ল আরআরআর
‘অল দ্যাট ব্রিদস’-এর গল্প
শৌনকের তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে দিল্লির প্রত্যন্ত গ্রাম ওয়াজিরাবাদে একটি পরিত্যক্ত বেসমেন্টে থাকেন দুই ভাইবোন। মহম্মদ সৌদ এবং নাদিম শাহজাদ। তাঁদের জীবন ঘিরেই এগোয় ছবির কাহিনি। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মহম্মদ এবং নাদিমের অদ্ভুত নেশা। আহত পাখি, বিশেষত কালো চিল উদ্ধার করে শুশ্রূষা করেন তাঁরা। তারই সূত্রে শৌনকের ছবির গল্প মোড় নেয় অন্য খাতে। বাঙালি হলেও শৌনক কিন্তু কলকাতার বাসিন্দা নন। তিনি থাকেন দিল্লিতে। পড়াশোনা করেছেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটি তাঁর দ্বিতীয় তথ্যচিত্র। ২০১৫ সালে ‘সিটিজ অব স্লিপ’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন শৌনক।
কান চলচ্চিত্র উৎসব জিতেছে ‘অল দ্যাট ব্রিদস’
তবে শৌনকের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ কান চলচ্চিত্র উৎসব জয় করে এসেছে। এছাড়াও কয়েকটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবে জিতে এসেছিল শৌনকের ছবি। তার পরেই সেটি মনোনীত হল অস্কারে।