ভিজে জিনা বাংলা টেলিভিশনের জগতে একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় নাম। আকর্ষণীয় চেহারা আর হটনেসে বোল্ড বাঙালি টিনএজাররা। সঙ্গীত বাংলা মিউজিক চ্যানেলে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয়। পাশাপাশি বিভিন্ন পার্টি, অ্যাপিয়ারেন্সে তাঁর প্রেজেন্স অনেকটাই বোল্ড। এমনকী এ বাংলা থেকে বাংলাদেশেও তাঁর ফ্যান রয়েছে অনেক।
এ হেন জিনা এখন চর্চার কেন্দ্রে সম্প্রতি একটি বাংলা চলচ্চিত্রে সুযোগ পাওয়ার জন্য। মফস্বলের মেয়ে আরও এক বাংলা তারকা অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর শহর জলপাইগুড়ির মেয়ে জিনা এখন টলিউডের জেন ওয়াই সেনসেশন।
মিমি চক্রবর্তীর দেখানো পথে তিনি হাঁটতে পারবেন কি না, তা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে মিমির পর আবার টলিউডে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন জলপাইগুড়ির এক তরুণী। তা নিয়ে উচ্ছ্বাস মফস্বল শহরে।
পুরো নাম জিনা তরফদার। জলপাইগুড়ির কেরানিপাড়ার মেয়ে তিনি। ইতিমধ্যেই কলকাতাতেই থাকেন। ভিডিও জকি হিসেবে জিনা বেশ পরিচিত মুখ। জকির কাজ করতে করতেই নজরে আসেন ফিল্মি দুনিয়ার।
সুন্দর ও ইনোসেন্ট চেহারার পাশাপাশি আকর্ষণীয় ফিগার ও বোল্ড লুক তাঁকে বেশিদিন ফ্ল্যাশবাল্বের ঝলকানির বাইরে রাখতে পারেনি। এবার প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে ব্রেক পেয়েছেন তিনি। তাও আবার একটি নয়। দু-দুটি প্রায় একসঙ্গে।
অ্যাঞ্জেলের ক্লিক প্ল্যাটফর্মে দুটি সিরিজের মুখ্য চরিত্রে তিনি। একটি চিকফ্লিক সেশন ২। এখানে খরাজ মুখোপাধ্যায় রয়েছেন জিনার বাবার ভূমিকায়। অন্য ছবিটার নাম ব্রেনওয়াশ। সেখানে জিনা আবার খরাজের গার্লফ্রেন্ডের ভূমিকায়।
জকি হিসেবে কাজ করার সময় মিমির ইন্টারভিউ নিয়েছেন কয়েকবার। সে-সসময়ই আলাপ তাঁর সঙ্গে। আপাতত কঠিন পথ ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা মিমি চক্রবর্তীই।
২০১৫ সালে কলেজে ভর্তি হন। সেই সময়ে সানন্দা পত্রিকা আয়োজিত 'সানন্দা তিলোত্তমা' কলকাতা প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপনে সুযোগ পান। তখনই স্মার্ট ঝকঝকে এবং সাহসী জিনার প্রথম লাইমলাইটে আসা।
বাড়ির কাউকে না জানিয়েই প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন পাঠিয়েছিলেন। তারপরের ঘটনা ধাপে ধাপে ইতিহাস। সানন্দার প্রচ্ছদে প্রকাশিত হয় জিনার ফুল ফ্রেম ছবি। যা তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
তারপর খুচখাচ কাজ করলেও ২০১৭ সালে মিউজিক চ্যানেল সঙ্গীত বাংলায় ভিডিও জকি হওয়ার প্রস্তাব আসে। তারপর থেকে ছোটপর্দায় জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠেন।
করোনায় লকডাউনে জলপাইগুড়িতে ছিলেন। সেই সময় অভিনয়ের প্রস্তাব আসে। প্রথমে করোনা পরিস্থিতিতে রাজি না হলেও পরিচালকের জোরাজুরিতে রাজি হন। তারপর আরও একটি অফার আসে।
জিনা জানেন, এই দুটিতে ভাল অভিনয় করতে পারলে সামনে আরও অনেক বন্ধ দরজা খুলে যাবে। ফলে তাঁর এখন মনোযোগ সব একই দিকে। জিনা চান মিমির মতো কিন্তু স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে।