'খুকুমণি হোম ডেলিভারি' ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকদের মনের একেবারে কাছে পৌঁছেছিলেন দীপান্বিতা রক্ষিত। তাঁর 'পেঁপে দিয়ে চেপে...' সংলাপ আজও জনপ্রিয়। এই মেগা শেষ হওয়ার পর বেজায় মন খারাপ ছিল 'খুকুমণি'র ফ্যানেদের। এরপর প্রিয় 'ডান্স ডান্স জুনিয়র'সিজন ২-তে মেন্টর অর্থাৎ ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করেন অভিনেত্রী। মাঝে একটা দীর্ঘ বিরতি পরে, এবার নতুন মাধ্যমে পা রাখতে চলেছেন তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ডেবিউ করবেন দীপান্বিতা। নতুন এই ওয়েব সিরিজের নাম 'মরীচিকা'।
সুব্রতর পরিচালনায় এবং সুমন গুহর প্রযোজনায় ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে সিরিজটি। দীপান্বিতা ছাড়াও রয়েছেন টলিপাড়ার আরও একগুচ্ছ চেনা মুখ। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে জয় সেনগুপ্ত, জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত গুহ রায়, অনুজা রায়, জিতসুন্দর চক্রবর্তীর মতো শিল্পীদের। থ্রিলারধর্মী এই সিরিজটি আসছে আগামী জানুয়ারি মাসে। কেমন ভাবে এগোবে গল্প?
ডঃ অনির্বাণ সেনগুপ্ত, মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক। পাহাড়ের কোলে এক ছিমছাম বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। শুধু মাঝে মাঝে ছোট্ট মেয়ে তিন্নি আসে, তার অনি আঙ্কেলের বাড়িতে। তিন্নিকে ভীষণ ভালোবাসে অনির্বাণ। পুতুল বানিয়ে দেয়, চকলেট দেয়। ওদের শান্ত জীবনে হঠাৎ একদিন অপরাধ দমন শাখার অফিসার রজত প্রবেশ করেন। জঙ্গলের রাস্তায় উদ্ধার হয় একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। খালি চোখে দেখলে মনে হবে দুর্ঘটনা, কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অন্য কথা বলে। এই খুনের তদন্ত করতেই রজত আসে অনির্বাণের বাড়িতে। কারণ যে ছেলেটি খুন হয়েছে, সে অনির্বাণের প্রাক্তন ছাত্র।
তদন্ত করতে করতেই রজত অনির্বাণের কাছে তিন্নির কথা জানতে পারে। এদিকে তিন্নির বাড়িতে গিয়ে রজত চমকে ওঠে। তিন্নি নাকি অনি আঙ্কেলের ফ্রিজে একটা কাটা কান দেখতে পেয়েছে। তিন্নিকে একটি পুতুল বানিয়ে দেবে বলে অনির্বাণ সিলিকনের তৈরি হিউম্যান বডি পার্টস কিনে এনেছে। রজতের সন্দেহ দৃঢ় হতে থাকে। রজত পুতুলটা দেখতে চায়। তিন্নি পুতুলটা রজতের কাছে আনতেই, রজত পুতুলের একটা কান ছিঁড়ে সেটা ফরেন্সিকে পাঠায়। কারণ এর কিছুদিন আগে পুলিশ একটি মেয়ের দেহ জলাশয়ের কাছে উদ্ধার করে, যার কান, ঠোঁট এবং হাতের আঙুল কাটা। রজত তল্লাসি করতে যায় অনির্বাণের বাড়ি। তারপর...রহস্যময় এই বাড়িতে কী লুকোনো আছে? অনির্বাণ কি সত্যিই এই খুনের ব্যাপারে কিছু জানে? রোমহর্ষক এই গল্প নিয়েই এগোবে 'মরীচিকা'-র গল্প।
দীপান্বিতা জানান, "এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ এবং আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে, আমার ওয়েব ডেবিউ ক্লিক-এর সঙ্গে করতে পেরেছি। আমার সহ-অভিনেতারা দারুণ ছিলেন এবং শ্যুটিংর সময় খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে কাজ করেছি। যদিও পাহাড়ে শ্যুটিংয়ের শিডিউল খুব চাপের ছিল। আবহাওয়াও কখনও কখনও বেশ বিপজ্জনক ছিল। এই অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা দারুণ উপভোগ করেছি।"
অভিনেত্রী যোগ করেন, "মরীচিকা একটি গভীর স্তরযুক্ত গল্প এবং আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে, জয় সেনগুপ্ত, সুব্রত গুহ রায়, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রতিভাবান সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, যাদের আমি ছোটবেলা থেকে পর্দায় দেখে বড় হয়েছি। সরল, কর্মজীবী মেয়ে শ্রেষ্ঠার চরিত্র ফুটিয়ে তোলা একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল। সে তার কাজ এবং ভালোবাসার জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখে। সে একজন সাধারণ, মেয়ে যার মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকে এবং সে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে ও মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভাল ধারণা তৈরি করতে পারে।"