'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি সিজন ১৩' শুরু হতে চলেছে আজ অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট থেকে। রাত ৯ টায় সম্প্রচারিত হবে সোনি টিভিতে। এবারের শোতে থাকছে অনেক পরিবর্তন। শো শুরু হলেই তা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসবে। অমিতাভ বচ্চনের এই শো সবসময়ই চর্চার কেন্দ্রে ছিল। দেখে নিন এখনও পর্যন্ত এই শো'তে যাঁরা কোটিপতি বিজয়ী হয়েছিলেন তাঁদের সম্বন্ধে। কী করছেন কেবিসির কোটিপতিরা, কেমন আছেন সব তথ্য রইল।
সিজন ১
মুম্বাইয়ের হর্ষবর্ধন নওয়াথে কেবিসির প্রথম সিজনে কোটিপতি হয়েছিলেন। তিনি এক কোটি টাকা জিতেছিলেন। তিনিই 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'র প্রথম কোটিপতি বিজেতা। তার জয়ের পর, হর্ষবর্ধন নওয়াথে একটি ইউকে বিজনেস স্কুলে ভর্তি হন। এখন তিনি মুম্বইতেই রয়েছেন। তাঁর দুই সন্তান আছে। তিনি বর্তমানে মুম্বইতে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে সিনিয়র হিসেবে কাজ করছেন।
সিজন ৩
অমিতাভ বচ্চনের বদলে শাহরুখ খান সিজন ৩ -এর সঞ্চালনা করেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় এই মরশুমে একটিও কোটিপতি বিজয়ী পাওয়া যায়নি।
সিজন ৪
রাহাত তসলিম এই সিজনে এক কোটি টাকা জেতে। রাহাত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিল।
সিজন ৫
সিজন ৫-এ সুশীল কুমার জিতেছিলেন ৫ কোটি টাকা। জেতার পর, তিনি বেশ আলোচনায় এসেছিলেন। সুশীল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও শেয়ার করেন। কেবিসি জেতার পরও তিনি কত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তা জানিয়েছিলেন।
এই সময়েই অনিল কুমার সিনহাও জিতেছিলেন ১ কোটি টাকা। এই টাকা তিনি সামাজিক কাজে ব্যবহার করেছেন। তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলও শুরু করেন।
সিজন ৬
এই সিজনে সনমিত কৌর জিতেছিলেন ৫ কোটি টাকা। তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। তিনিই প্রথম নারী যিনি ৫ কোটি টাকা জিতেছেন। তিনি অভিনেতা মনমিত সিংকে বিয়ে করে মুম্বই থাকেন।
এই সিজনেই মনোজ কুমার রায়না জিতেছিলেন ১ কোটি টাকা। তিনি ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরি করেন।
সিজন ৭
তাজ মোহাম্মদ রংরেজ ৭ কোটি টাকা জিতেছিলেন। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। এই পুরস্কারের অর্থ দিয়ে তাঁর মেয়ের চোখের চিকিৎসা এবং তাঁর পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার। অন্যদিকে ফিরোজ পতিমা জিতেছিলেন ১ কোটি টাকা। তিনি তার বাবার চিকিৎসার জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য শোতে হাজির হয়েছিলেন।
সিজন ৮
এই সিজনে অচিন নারুলা এবং সার্থক নারুলা ৭ কোটি টাকা জিতেছিলেন। দুজনেই দিল্লির বাসিন্দা। যেখানে মেঘা পাতিল জিতেছিলেন ১ কোটি টাকা। তিনি একজন ক্যান্সার সার্ভাইভার।
সিজন ৯
জামশেদপুরের বাসিন্দা অনামিকা মজুমদার এই সিজনে এক কোটি টাকা জিতেছেন। তিনি একজন সমাজকর্মী। তিনি জয়ের অর্থ সামাজিক কাজে ব্যবহার করেন।
সিজন ১০
এই সিজনে অসমের বাসিন্দা বিনীতা জৈন জিতেছিলেন ১ কোটি টাকা। তিনি একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। এই টাকা তিনি তাঁর সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য ব্যবহার করেছেন।
সিজন ১১
এই সিজনে অনেকেই কোটি টাকার পুরস্কার জিতে নেন। বিহারের সানোজ রাজ ১ কোটি টাকা। ববিতা তাদে, গৌতম কুমার ঝা এবং অজিত কুমারও জিতেছেন এক কোটি টাকা।
সিজন ১২
এই সিজনেও অনেক কোটিপতি বিজয়ী ছিলেন। অনুপমা দাস জিতেছেন ১ কোটি, নাজিয়া নাসিম এবং মোহিতা শর্মাও জিতেছেন ১ কোটি টাকা।
২০০১ সালে কেবিসি জুটি স্পেশালে বিজয় রাওয়াল এবং অরুন্ধতী ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। এই সময়েই বি মোহন সাইনি কেবিসি জুনিয়রে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছিলেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। রবি মোহন সায়নী ২০১৪ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার হন।