গতবছর যেসব বাংলা সিরিজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘মহানগর’। এ সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্র ওসি হারুনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মোশাররফ করিম। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিল এপার বাংলাও। তারপর থেকেই বাংলাদেশের মত ভারতেও বেশ জনপ্রিয় মোশাররফ করিম। সেই মোশারফ করিম এসেছেন ভারতে।
আমন্ত্রণ ছিল আলিপুরদুয়ার জেলার কামাখ্যাগুড়ি নাট্য উৎসব অনুষ্ঠানে । তাই বাংলাদেশ থেকে এই আমন্ত্রণ পেয়ে উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রেখেছিলেন বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব মোশারফ করিম । অনুষ্ঠানের মঞ্চ মাতিয়ে কাকভোরে রওনা দেন মোশারফ করিম। জাতীয় সড়ক ধরে যখন আলিপুরদুয়ার জেলার ছোট-বড় গ্রাম শহর পেরোচ্ছেন, তখন চা প্রেমী করিমবাবুর নজরে পড়ে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার সীমানায় অবস্থিত তেলিপাড়া মোড়ে ইটস ম্যাজিকাল টি কাউন্টার ।
তাই গাড়ির সারথিকে স্টিয়ারিং থামাতে বলে সোজা রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে হাজির হলেন অভিনেতা। নাট্যব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে ঘনঘন চা পান করার অভ্যাসে অভ্যস্ত মোশারফ বাবু । চা এই অভিনেতার ভীষণ প্রিয়। ‘চা খোর’ শিরোনামে বেশ কিছু নাটকেও কাজ করছেন তিনি।
চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে মাটির ভাঁড়ে করে পরম তৃপ্তীতে চা খেলেন। সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী রোবেনা রেজা জুঁই। ইটস ম্যাজিকাল টি'র সৌভিকের তৈরি চা পান করে দারুণভাবে আপ্লুত মোশারফবাবু।
হঠাৎ এই চা পান প্রসঙ্গে মোশারফবাবু বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মধ্যে তেলিপাড়ার চায়ের ব্যাপারে অনেক শুনেছি। কামাখ্যাগুড়িতে নাট্যোৎসবের উদ্বোধনে এসেছিলাম। ফেরার পথে এখানে দাঁড়িয়ে চা খেলাম। ভাল লাগলো। চা কে কেন্দ্র করে এলাকার উন্নয়ন চোখে পড়ার মত।’
মোশারফ করিমকে চা খাওয়াতে পেরে যেন ঘোর কাটছে না দোকানদারের। চা বিক্রেতা বলেছেন, ‘আমি তো অবাক যে আমার দোকানে মোশাররফ বাবু এসেছেন। সাত সকালে মোশারফ বাবুকে চা দিতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এটা আমার কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
সৌভিকের সাথে কথা বলে মোশারফ বাবু জানতে পারেন সৌভিক আন্তর্জাতিক এক কোম্পানির অধীনে কাজ করতেন, কিন্তু এই করোনাকালে তিনি চাকরি হারান। বাড়িতে ফিরে শুরু করেন ম্যাজিকাল টি কাউন্টার।
সুন্দরী ডুয়ার্সের এক চুমুক চায়ের স্বাদ ও গন্ধ বয়ে নিয়ে গেলেন মোশারফবাবু। দিয়ে গেলেন অনেক শুভেচ্ছা সৌভিক সরকারকে। সৌভিক ও এলাকার মানুষ দারুণ ভাবে খুশি, এখনও যেন ঘোর কাটছে না তাদের।