রিল হোক বা রিয়েল, ধর্মেন্দ্রর প্রেমকাহিনী স্বপ্নের মতো। প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য নিজের ধর্মও পরিবর্তন করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বলিউডের এই 'হি-ম্যান' তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনার জন্যও বরাবর লাইমলাইটে থাকতেন।
ধর্মেন্দ্র প্রথম বিয়ে করেছিলেন প্রকাশ কৌরকে ১৯৫৪ সালে। সে সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। প্রকাশের সঙ্গে ৪ সন্তান রয়েছে ধর্মেন্দ্রর। সানি, ববি, অজিতা এবং বিজেতা।
বিবাহিত ধর্মেন্দ্র প্রেমে পড়েন বলিউডের 'ড্রিম গার্ল' হেমা মালিনীর। ১৯৮০ সালে তাঁকে বিয়ে করেন অভিনেতা। যদিও সে সময়ে তিনি প্রকাশকে ডিভোর্স দেননি।
১৯৮০ সাল থেকে দ্বিতীয় বিবাহিত জীবন শুরু ধর্মেন্দ্রর। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করায় একাধিক গুজব রটে গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে। জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে, ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
২০০৪ সালে আউটলুককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র এই গুজবগুলি নিয়ে অকপটে জবাব দেন। তিনি বলেন, 'এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এমন ব্যক্তি নই, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করব।'
হেমা এবং ধর্মেন্দ্রর ২ কন্যা এষা এবং অহনা দেওল। এষা শুরুটা ভাল করলেও তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি সিনেমা কেরিয়ারে।
হেমাকে বিয়ে করলেও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন ধর্মেন্দ্র। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এবিপি লাইভকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ববি দেওল বলেন, 'ধর্মেন্দ্র এবং প্রকাশ এখনও খান্ডালায় তাঁদের ফার্ম হাউসে একসঙ্গে থাকেন।' ববি এবং সানি দেওলও ওই একই বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। হেমা থাকেন তাঁর নিজস্ব বাংলোয়।
রোমান্স, কমেডি এবং অ্যাকশন, প্রতি ক্ষেত্রেই অসাধারণ অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শককে। 'হি-ম্যান অফ বলিউড' ডাকনামে খ্যাত ধর্মেন্দ্র তার পুরুষালি চেহারা এবং কোমল হৃদয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। পর্দার বাইরে, তিনি ছিলেন নম্র, স্নেহশীল এবং নিজের পঞ্জাবি শিকড়ের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
ধর্মেন্দ্রর পরিবার তাঁর অভিনয়ের বংশধারা অব্যাহত রেখেছেন। সানি, ববি এবং এষা সিনেমায় অভিনয় করেন। এছাড়াও ধর্মেন্দ্রর ভাগ্নে অভয় দেওল অল্টারনেটিভ সিনেমায় একটি বিশেষ স্থান তৈরি করছেন। দেওল পরিবার এখনও বলিউডের প্রিয় ফ্যামিলির মধ্যে অন্যতম।
‘চুন চুনকে মারুঙ্গা’ সংলাপ ভারতীয় সিনেমার দর্শকদের কাছে একটি আইকনিক ডায়ল হয়ে গিয়েছে। ধর্মেন্দ্র এমনই একজন অভিনেতা, যিনি কালের দাবি মেনে নিজের ইমেজকে ভেঙেছেন-গড়েছেন। কখনও তিনি রোম্যান্টিক হিরোর ভূমিকায় অনুরাগীদের স্বপ্নে ধরা দিয়েছেন। আবার কখনও ম্যাচো ম্যান হিসেবেও নিজের ইমেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
রোম্যান্সকে কী ভাবে নির্মাণ করতে হয়, তিনি জীবন সায়াহ্নে এসেও ধর্মেন্দ্র দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে তাঁর 'রকি অউর রানি ক প্রেম কাহিনী' ছবিতে শাবানা আজমির সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে।