কথায় বলে 'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে'। এই কথাটি যার জন্য একেবারে প্রযোজ্য তিনি হলেন অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি রাজ্যসভার সদস্য। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে কলকাতায় এসেছেন জয়া। তবে কলকাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কিন্তু আজকের নয়, এটি আসলে বহু পুরনো।
বাঙালি পরিবারের মেয়ে জয়া বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক তরুণ কুমার ভাদুড়ীর মেয়ে। মধ্য প্রদেশের জবলপুরে জন্ম ও ভোপালে পড়াশোনা তাঁর।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে সত্যজিৎ রায়ের 'মহানগর' ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন জয়া। সালটা ছিল ১৯৬৩। এই ছবিতে এছাড়াও ছিলেন অনিল চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা।
এরপর ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের 'গুড্ডি' ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পান অভিনেত্রী। সেই বছরই 'ধন্যি মেয়ে' ছবিতে মনসা চরিত্রে নিজের অভিনয়ের দক্ষতায় দর্শকদের মন জয় করেছিলেন জয়া। এই ছবিতে উত্তম কুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়, জহর রায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন জয়া।
এছাড়াও 'জননী', 'সানগ্লাস'-র মতো আরও বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন জয়া বচ্চন। এমনকি সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের ছবি 'মেহেরজান'-ও।
রাজা সেন পরিচালিত 'দেশ' ছবিটিতেও দেখা গেছে জয়াকে। এই ছবিতে এছাড়াও ছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, শুভেন্দু চট্টপাধ্যায়, এমনকি জয়া পুত্র অভিষেক বচ্চনও।
১৯৭৩ সালের ৩ জুন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিয়ে করেন জয়া। সেজন্য প্রায়সই মজা করে বিগ বি-কে 'বাংলার জামাই'-ও বলা হয়।
শুধু বাংলা ছবিতে অভিনয় নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেছে যোগদান করতে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও সামিল হয়েছেন অমিতাভ ঘরণী।
এমনকি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদবোধনে জয়া বচ্চন প্রথম সারিতেই থেকেছেন বহুবার।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও তাঁকে বলতে শোনা গেছে কলকাতা তাঁর খুব কাছের ও একেবারে তাঁর নিজের জায়গা। (ছবি সৌজন্য: ইন্ডিয়া টুডে / গেটি)