বলিউড আমাকে অ্যাফর্ড করতে পারবে না। তাই আমি বলিউড সিনেমা করি না। এটা বলে মহেশ বাবু শিরোনামে উঠে এসেছেন রাতারাতি। দক্ষিণী সুপারস্টার আপাতত বয়ান থেকে পালটি খেয়েছেন। এখন মহেশবাবু বলেছেন যে তিনি সিনেমা থেকে ভালবাসেন। যাই হোক দক্ষিণী স্টার যা বলার বলে দিয়েছেন। এখন আমরা একটু বলিউডের টপ একটা স্টারদের ফিসটা একটু জানিয়ে দিই। যারা মহেশ বাবুকে গুণে গুণে চার গোল দেবে। হ্যাঁ সঠিক কথাই শুনছেন। মহেশবাবুর চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি ফিস নেন তাঁরা। কারও তো ফিসের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই। এখন আপনারাই বিচার করুন, তাঁরা দেওয়ার যোগ্য কিনা।
অক্ষয় কুমার
অক্ষয় বলিউডের highest-paid অ্যাক্ট্রেসদের মধ্যে একজন। রিপোর্ট অনুযায়ী অক্ষয়ের একটি ফিল্মের জন্য ১৩৫ কোটি টাকা ফিস চার্জ করেছেন। সেখানে মহেশ বাবু একটা সিনেমা থেকে ৫৫ থেকে ৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত চার্জ করেন।
শাহরুখ খান
গোটা পৃথিবীতে মানুষের মনে রাজ করা বলিউডের বাদশা কিং শাহরুখ খানের জলওয়া সবাই দেখে নিয়েছে। তার বিষয়ে আমরা সবাই জানি। শুধু সিনেমা নয়, প্রোডাকশন থেকে শুরু করে খেলার দুনিয়ায় তিনি ব্যবসা জমিয়ে ফেলেছেন। কিং খানের চার্মিং পার্সোনালিটি কোটি কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। এখন তার প্রফেশনাল লাইফের কথা যদি বলি তিনি যে কোন ফিল্ম করার জন্য কোনও ফিসই নেন না। বরং সিনেমার কামাইয়ের ৬০ শতাংশ মুনাফা নিয়ে চলে যান। এবার আপনি আন্দাজ করে নিজে একটা সিনেমা কত টাকা কামাই করে এবং তিনি কত টাকা নিয়ে যান। ফলে মহেশ বাবু তার ধারে কাছে আসেন কি না।
আমির খান, শাহরুখ খানের মতোই টাকা নেন। বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট কাজের উপর ভালো কাজের জন্য অল্প সিনেমা করেন। কিন্তু আমির যে কোনও ফিল্মের ৭৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব নেন। যদি ফিল্মের কামাই যাইহোক, ৭৫ শতাংশ শেয়ার আমির খানের কাছে চলে যায়। যেখানে মহেশ বাবু ৮০ কোটি টাকা নিয়েই খুশি হয়ে যান।
রানবীর কাপুর
বলিউডের চকলেট বয় রনবীর কাপুর ফিল্মের জন্য ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা চার্জ করেন। রণবীরও ভাল ফিল্মের জন্য পরিচিত। এমন সময় মহেশ বাবুর ৫০ কোটি টাকা নেন, সেই হিসেবে দেখলে রণবীরের ক্যারিয়ার মহেশ বাবুর চেয়ে অনেক আগে।
হৃত্বিক রোশন
হৃত্বিক ওই সমস্ত স্টারের মধ্যে একজন, যিনি ফিল্ম এর অ্যামাউন্ট চার্জ করার বদলে লাভের অংশ নেন। ঋত্বিক ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ প্রফিট শেয়ার মডেলে কাজ করেন। যেখানে মহেশ বাবুর ফিস ফিক্সড।
সলমান খান
সলমান দেশের টপ ১০০ এর মধ্যে একজন। যার নামে কামাই শুরু হয়ে যায়। ২০১৬ সালে সালমান খান সুলতান এর জন্য ১০০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। পরে ২০১৭ তে তিনি টাইগার জিন্দা হ্যায় এর জন্য ১৩০ কোটি টাকা চার্জ করেন এবং প্রোডাকশনের জন্য একটা ঘর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অংশ নেন।
সলমান খানের প্রোডাকশন হাউজ রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি এবং টেলিভিশনে তিনি বিভিন্ন উৎস হতে প্রচুর টাকা ইনকাম করেন। ভালোবেসে সাহায্যও করেন। এখন আপনি ঠিক করুন মহেশবাবুকে বলিউড অ্যাফর্ড করতে পারবে কি না।
সমস্ত ফটো @ইনস্টাগ্রাম